কাতার বিশ্বকাপে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তিউনিসিয়া ও ডেনমার্ককে। গোলশূন্য ড্র হয়েছে ম্যাচটি।
এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম মিনিটেই গোলের সুযোগ তৈরি করে ডেনমার্ক। কর্ণার কিক থেকে এরিকসনের নেয়া শট ক্লিয়ার করে বিপদ সে যাত্রায় এড়ায় তিউনিসিয়া।
ষষ্ঠ মিনিটে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কোর্টে নিয়ে আক্রমণে যায় তিউনিসিয়া। কিন্তু ব্যর্থ হয় লাইদুইনির সেই আক্রমণ। কিন্তু খেই না হারিয়ে ধৈর্য্য ধরে ম্যাচে নজর রাখে ডেনমার্ক।
ম্যাচের অষ্টম থেকে দশম মিনিটে ব্যাক টু ব্যাক দুটি আক্রমণ চালায় ডেনমার্ক। কিন্তু তিউনিসিয়ার ডিফেন্ডারদের প্রতিরোধে সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় তারা।
১৭ মিনিটের সময় ডেনমার্কের ডি বক্সে জটলার ভেতর থেকে গোলের সুযোগ নেয় তিউনিসিয়া। কিন্তু ডাচ গোলরক্ষক ক্যাসপার ভেস্তে দেন সেই সুযোগ।
২২তম মিনিটে ডি বক্সের কাছাকাছি বিপজ্জনক জায়গায় ফ্রি কিক পায় ডেনমার্ক। এরিকসনের নেয়া সেই শট ডি বক্সে ক্লিয়ার করে বিপর্যয় এড়ান শাকিরি।
ম্যাচের ২৩তম মিনিটে ডেডলক ভেঙ্গে জালের ঠিকানা খুঁজে পান তিউনিসিয়ার স্লিমান্নে। কিন্তু অফ সাইডের ফাঁদে পড়ে গোলবঞ্চিত হতে হয় তাদের।
ম্যাচের ৪১তম মিনিটে থমাস ডেনলিকে ডি বক্সে ফাউল করায় পেনাল্টির আবেদন করেন হজবার্গ। কিন্তু রেফারি সেই আবেদন নাকচ করে দিয়ে খেলা অব্যাহত রাখেন।
তার ঠিক দুই মিনিট পর দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি করেন ডাচ ফুটবলার জেমবালি। কিন্তু নিশ্চিত গোলের সেই আক্রমণ ঠেকিয়ে দেন ক্যাসপার। যার ফলে গোলশূন্য থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করতে হয় দুই দলকে।
বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে তিউনিসিয়ার ওলসন আঘাত হানেন ডাচদের জালে। কিন্তু এবারও হতাশ হতে হয় তাদের। অফসাইডের বাঁশি বেজে ওঠে সাইড রেফারির কাছ থেকে।
৭০তম মিনিটে ডেনমার্কের ডি বক্সে জটলার সুযোগ নিয়ে গোলের চেষ্টা করেন ক্রিস্টেনসেন। কিন্তু দলকে লিড এনে দেয়া সম্ভব হয়নি তার।
৭১ তম মিনিটে পেনাল্টির আবেদন করে তিউনিসিয়া। ভিএআর দেখে সেই আবেদনে সারা দেননি রেফারি।
এরপর ম্যাচের বাকিটা সময় একটি অধরা গোলের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যায় দুই দল। শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা না মেলায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।