কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অফসাইডের বেড়াজালে আটকে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করেছে আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধ ৪-০ গোলে এগিয়ে থেকে শেষ করার সম্ভাবনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ১ গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যেতে হয়েছে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যদের। অফসাইডের ফাঁদে পড়ে বাতিল হয়েছে আর্জেন্টাইনদের ৩টি গোল।
কাতারের লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই সৌদি আরবকে চেপে ধরে আর্জেন্টিনা। কিন্তু বারবার তাদের ব্যর্থ হতে হয়েছে সৌদির হাই লাইন ডিফেন্সের কারণে।
ম্যাচের দেড় মিনিটের মাথায় আক্রমণে যায় আকাশি নীলরা। ডি বক্সের ভেতর থেকে মেসির নেয়া দুর্দান্ত শট কোনো রকমে ঠেকিয়ে দিয়ে বিপর্যয় সামাল দেন সৌদির গোলরক্ষক
ম্যাচের অষ্টম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে মেসি ফ্রি কিক নেয়ার সময় বক্সের ভেতর ফাউলের শিকার হন লিয়ান্দ্রে পারাদেস। ভিএআর দেখে ফাউলের ঘোষণা দেন রেফারি। আর সেই সুবাদে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা।
সেখান থেকে সফল স্পট কিকের মাধ্যমে ম্যাচের দশম মিনিটে দলকে লিড এনে দেন মেসি। গোল দিয়ে আর্জেন্টাইন সমর্থদের উল্লাসে মাতানোর পাশাপাশি নিজের শেষ বিশ্বকাপের শুরুটা গোল দিয়ে করেন তিনি।
গোল হজম করে স্কালোনির শিষ্যদের চেপে ধরে সৌদি। ১৩ থেকে ১৬ মিনিটের মাথায় ব্যাক টু ব্যাক বেশ কিছু আক্রমণ চালালেও গোছানো আক্রমণের অভাবে জালের দেখা মেলেনি কোনোবারই।
১৯ থেকে ২২ মিনিটের মাথায় সৌদিদের বক্সে টানা আক্রমণ চালায় আর্জেন্টিনা।
২১ মিনিটের মাথায় পাপু গোমেস শট নেন সৌদির গোলবারে। শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে সুযোগ হাতছাড়া হয় আকাশি নীলদের।
২৩তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে পাওয়া পাস ধরে একাই ডি বক্সে ঢুকে যান মেসি। তিন ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে কাটিয়ে জালের ঠিকানা খুঁজে নিলেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয় গোলটি।
২৮ মিনিটের মাথায় ফের অফসাইডের ফাঁদে পড়ে গোল বাতিল হয় আর্জেন্টিনার। ডি বক্সের কাছাকাছি বল পেয়ে যান লাউতারো মার্তিনেসে। সেই বল টেনে নিয়ে একক নৈপুণ্যে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ড।
আরও একবার অফসাইডের ফাঁদে পড়ে বাতিল হয় এই গোলটিও।
ম্যাচের ৩৫ মিনিটের মাথায় মাঝমাঠ থেকে মেসির দেয়া পাস ধরে ডি বক্সে ঢুকে যান লাউতারো মার্তিনেস। সেখান থেকে দুর্দান্ত নৈপুণ্যে গোলরক্ষককে ভেলকি দিয়ে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। এটিও কাটা পড়ে অফসাইডের ফাঁদে।
এরপর প্রথমার্ধের বাকিটা সময় চলে আর্জেন্টিনার আক্রমণ। শেষ পর্যন্ত জালের ঠিকানা খুঁজে পায়নি কেউই। যে কারণে ১ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যেতে হয় দুইবারের বিশ্বকাপ জয়ীদের।