ফিফা বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়নস কার্স বা চ্যাম্পিয়নের অভিশাপ কথাটা খুবই প্রচলিত। বিশ্বকাপে ১৯৬২ সালের পর কোনো আসরের চ্যাম্পিয়নরা পরের আসরে শিরোপা জিততে পারেনি। শুধু তাই নয় অধিকাংশ চ্যাম্পিয়নরা পরের আসরেই ছিটকে গেছে গ্রুপ পর্ব বা নক আউট থেকে।
গত ৪০ বছরে বিষয়টা অনেকটা ধারাবাহিক। ৮২ বিশ্বকাপের আর্জেন্টিনা, ৮৬'র ইতালি, ৯৪ সালের জার্মানি, ২০০২-এ ফ্রান্স, ২০১০ এ আবারও ইতালি, ২০১৪-তে স্পেন ও ২০১৮ বিশ্বকাপে জার্মানির ভাগ্য ছিল অনেকটা একই রকম। বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের ওপরও থাকছে সেই চাপ।
ফরাসিদের ওপর চাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে লম্বা চোটের তালিকা। এনগোলো কান্তেকে দিয়ে শুরু।এরপর একে একে পল পগবা, প্রেসনেল কিমপেমবে, ক্রিস্তোফার এনকুনকু নাম লেখান ইনজুরির তালিকায়। সবশেষ এই তালিকায় নাম ওঠান বর্তমান ব্যালন ডরজয়ী ফুটবলার কারিম বেনজেমা। আর তাতেই বিশ্বকাপ শুরুর আগেই পাঁচ অভিজ্ঞ তারকাকে ফুটবলারকে হারিয়ে বসে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
স্বভাবতই ইনজুরিতে পাঁচ ফুটবলারের ছিটকে যাওয়াটা বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে দলের জন্য। যেখান থেকে বেরিয়ে আসা সহজ বিষয় না মোটেও। তবে কোচ আস্থা রাখছেন দলের বাকিদের ওপর।
এখনও কিলিয়ান এমবাপে ও আতোয়াঁ গ্রিজমানের মতো অভিজ্ঞরা আছেন দলে। রয়েছেন অরেলিয়ে চুয়ামেনি, এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা ও উসমান ডেম্বেলের মতো লা লিগার পরীক্ষিত তারকারা।
ইউসুফ ফোফানা, মাতেও গুয়েন্দোজি, অলিভিয়ে জিরু ও মার্কাস থুরামদের নিয়ে গড়া বেঞ্চও যথেষ্ট শক্তিশালী ফ্রান্সের। সবমিলিয়ে আবারও বিশ্বজয়ের চ্যালেঞ্জ নিয়েই নামছে ফ্রান্স।
আজ রাত ১টায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।