একরাশ বিতর্কের মধ্য দিয়েই পর্দা উঠতে যাচ্ছে কাতার বিশ্বকাপের। বিতর্কের পাশাপাশি বিশ্বকাপ দেখতে আসা বিদেশি দর্শকদের ওপর বিধিনিষেধের ঝুলি চাপিয়ে দিয়েছে দেশটির সরকার।
অ্যালকোহলে নিষেধাজ্ঞা: কাতার বিশ্বকাপে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সকল প্রকার অ্যালকোহল। মাঠে বসে পান করা যাবে না বিয়ার।
অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় নিষিদ্ধ থাকলেও বিশ্বকাপ চলাকালে শর্ত সাপেক্ষে শুধু বিয়ার পানের অনুমতি দেয়া হয়েছিল দর্শকদের। কিন্তু বিশ্বকাপের দুই দিন আগে শুক্রবার সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
ধূমপানে নিষেধাজ্ঞা: কাতার বিশ্বকাপে দর্শকদের ধূমপানে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। মাঠে তো নয়ই, বাইরে খোলা জায়গাতেও ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে বিদেশি দর্শকদের।
পোশাকের ক্ষেত্রে কড়া বিধিনিষেধ: কাতার বিশ্বকাপে নারী দর্শকদের পোশাকের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে দেশটির সরকার। খোলামেলা পোশাক পরলে তৎক্ষণাৎ শাস্তির আওতায় আনা হবে হবে জানানো হয়েছে আয়োজকদের পক্ষ থেকে।
বিশ্বকাপ দেখতে আসা বিদেশি নারী সমর্থকদের খোলামেলা পোশাক পরতে বারণ করা হয়েছে। তাদের অবশ্যই কাঁধ ও হাঁটু ঢেকে রাখতে হবে।
দর্শকরা নিজ ইচ্ছামতো পোশাক পরলেও সেটি খোলামেলা হওয়া যাবে না। স্টেডিয়ামে তো বটেই, অন্যান্য দর্শনীয় স্থান ও সরকারি দপ্তরে গেলেও শরীর ঢাকা পোশাক পরতে হবে।
এমনকি পোশাকের বিষয়ে নজরদারি করতে স্টেডিয়ামের ভেতর ক্যামেরাও বসানো হয়েছে।
পুরুষদের ক্ষেত্রেও রয়েছে বিধিনিষেধ। হাতা কাটা কোনো টি-শার্ট পরতে পারবেন না পুরুষ দর্শকরা। একই সঙ্গে বিতর্কিত কিছুও লেখা যাবে না টি-শার্টে।
নিয়ম ভঙ্গকারীকে জেল থেকে শুরু করে প্রায় ২ হাজার ৮০০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে বলে জানিয়ে রেখেছে আয়োজকরা।
চলাফেরার সময় লক্ষ রাখতে হবে যেসব বিষয়: কাতার বিশ্বকাপ দেখতে আসা দর্শকদের চলাফেরার সময়ও মেনে চলতে হবে কঠোর নিয়মকানুন। স্টেডিয়ামে দর্শকদের থাকতে হবে সংযত।
বান্ধবী বা স্ত্রীকে নিয়ে কাতারের রাস্তায় হাত ধরে হাঁটা যাবে ঠিকই, কিন্তু তাকে প্রকাশ্যে জড়িয়ে ধরা বা চুমু খাওয়া যাবে না। আর অন্য কোনো নারীর দিকে করমর্দনের জন্য হাত বাড়ানোর তো প্রশ্নই ওঠে না।
কাতারে সমকামিতা বেআইনি ও এর জন্য শাস্তির বিধান থাকলেও বিশ্বকাপ চলাকালে সমলিঙ্গেরা স্বাভাবিক ভঙ্গিতে হাত ধরতে পারবেন। আলিঙ্গন ও চুম্বনেও বাধা নেই। তবে লোকজনকে দেখানোর উদ্দেশে এ কাজগুলো করা যাবে না।