টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা মুখ থুবড়ে পড়েছে ওয়ানডে ফরম্যাটে। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ইংলিশরা ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে অসহায়ের মতো। টানা দুই ম্যাচে পরাজয় মেনে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও সফরকারীদের হারতে হয়েছে ৭২ রানে। অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ২৮০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান তুলতে সক্ষম হয় ইংলিশরা। আর তাতেই এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৪৩ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নার ফেরেন ১৬ করে আর ট্রেভিস হেডের ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান।
এরপর স্টিভ স্মিথ ও মার্নাস ল্যাবুশেইনের শতরানের জুটিতে ভর করে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে স্বাগতিকরা। দলীয় ১৪৪ রানে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ অর্ধশতক তুলে মাঠ ছাড়েন ল্যাবুশেইন। পরের বলে আদিল রাশিদের দ্বিতীয় শিকার বনে রানের খাতা খোলার আগে মাঠ ছাড়েন অ্যালেক্স ক্যারি।
তবে উইকেট আগলে ধরে রেখে মিচেল মার্শকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসের চাকা সচল রাখেন স্মিথ। দলীয় ২৩৪ রানে সেঞ্চুরি থেকে ৬ রান দূরে থাকতেই রাশিদের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি।
মার্শ মারকুটে ব্যাটিং করলেও ৫০ রানেই থেমে যেতে হয় তাকে। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটের খরচায় ২৮০ রানের পুঁজি নিয়ে মাঠ ছাড়ে অস্ট্রেলিয়া।
ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি উইকেট নেন আদিল রাশিদ। দুটি করে উইকেট নেন ক্রিস ওকস ও ডেভিড উইলি। আর একটি উইকেট যায় মঈন আলির ঝুলিতে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই স্কোরবোর্ডে রান যোগ করার আগেই জেসন রয় ও ডাওয়িড মালানের উইকেট তুলে নেন মিচেল স্টার্ক। আর তাতেই শুরুতেও বড় হোঁচট খায় ইংল্যান্ড।
ফিল সল্ট ইনিংস আগানোর চেষ্টা চালালেও ২৩ রানেই থামতে হয় তাকে। আর তাতেই ৩৪ রানেই তিন উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে জেমস ভিন্সের ৬০ ও স্যাম বিলিংসের ৭১ রানের সুবাদে লড়াইয়ে ফেরে সফরকারীরা। কিন্তু তাতেও সুবিধা করতে পারেনি শর্টার ফরম্যাটের বিশ্বকাপজয়ীরা।
শেষ পর্যন্ত সবগুলো উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান তুলতেই ইনিংসের চাকা থেমে যায় ইংল্যান্ডের।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৪টি করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক ও অ্যাডাম জাম্পা। আর ২টি উইকেট যায় জশ হেইজলউডের ঝুলিতে।