বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাতার-ইকুয়েডর ম্যাচে যত হিসেব-নিকেশ

  •    
  • ১৯ নভেম্বর, ২০২২ ১৮:০৬

প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ হিসেবে কাতারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্বকাপ। কাতারেরও বিশ্বকাপে এটি প্রথম অংশগ্রহণ। স্বাগতিক হিসেবে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে দেশটি।

কাতারের আল-খোরের আল-বায়াত স্টেডিয়ামে রোববার উদ্বোধনী ম্যাচের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠছে ফিফা বিশ্বকাপের।

গ্রুপ ‘এ’ এর দুই দল ইকুয়েডরের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক কাতার। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় শুরু হবে ম্যাচটি। এর মাধ্যমে শুরু হবে মাসব্যপী বিশ্বকাপের লড়াই।

প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ হিসেবে কাতারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্বকাপ। কাতারও বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছে। স্বাগতিক হিসেবে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে দেশটি।

অন্যদিকে আট বছর পর বিশ্বকাপে ফিরেছে ইকুয়েডর। কাগজে কলমে কাতারের চেয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছে দলটি। যে কারণে ম্যাচটিতে জয়ের সম্ভাবনায়ও এগিয়ে রয়েছে সফরকারীরা।

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে এ পর্যন্ত কোনো স্বাগতিক দল পরাজিত হয়নি। ইতিহাস এদিক থেকে কিছুটা হলেও কাতারের পক্ষে রয়েছে। ১৯৭৮ সালের পর উদ্বোধনী কোনো ম্যাচ গোলশূন্যভাবেও শেষ হয়নি। কাতার এ পর্যন্ত টানা পাঁচ ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে।

সেপ্টেম্বরে চিলির সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করার পর একে একে গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, পানাম ও আলবেনিয়াকে হারিয়েছে কাতার। এই পরিসংখ্যানগুলোই কাতারকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে।

গত পাঁচ বছর ধরে স্প্যানিশ কোচ ফেলিক্স সানচেজ বাসের অধীনে কাতার নিজেদের ধীরে ধীরে প্রস্তুত করেছে। গ্রুপ-এ এর অপর দুটি দল হচ্ছে সেনেগাল ও নেদারল্যান্ড। কাতারের লক্ষ্য স্বাগতিক হিসেবে নিজেদের সেরাটা দিয়ে যতটা সম্ভব সবাইকে আকৃষ্ট করা, ভালো খেলা উপহার দেয়া।

আফ্রিকান নেশনস কাপ বিজয়ী সেনেগাল ও ২০১০ বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট নেদারল্যান্ডকে মোকাবেলা করা ৫০ তম র‌্যাঙ্কধারী দলটির পক্ষে কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যায়।

২০০২ সালে চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারিয়ে সেনেগাল উদ্বোধনী ম্যাচে অভিষিক্ত দল হিসেবে যে রেকর্ড গড়েছিল তার পুনরাবৃত্তি করতে চায় কাতার। একইসাথে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় স্বাগতিক হিসেবে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়ে ২০১০ সালে সাউথ আফ্রিকার রেকর্ডটা স্পর্শ করতে চায় না মেরুনরা।

রোববারের ম্যাচে জয়ী হতে পারলে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) এর একমাত্র দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচে জয়েরও ইতিহাস গড়বে কাতার।

অন্যদিকে অবৈধ খেলোয়াড় বাছাই পর্বে খেলানোর অভিযোগে ইকুয়েডর সমালোচিত হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত ওই অভিযোগের কোনো সত্যতা মেলেনি। এর আগে ২০০২, ২০০৬ ও ২০১৪ সালে তিনবার বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে ইকুয়েডর প্রথম থেকেই এগিয়ে যেতে চায়। ১৬ বছর আগে তারা শেষ ১৬ তে গিয়েছিল, বাকি দুটি আসরের গ্রুপ পর্ব থেকেই তাদের বিদায় নিতে হয়েছে।

বিশ্বকাপের আগে পাঁচটি প্রীতি ম্যাচের কোনোটিতেই কোনো গোল হজম করেনি ইকুয়েডর। শনিবার সর্বশেষ ইরাকের বিপক্ষে গোলশুন্য ড্র করেছে। দুই বছর আগে দলের দায়িত্ব পাওয়া আর্জেন্টাইন কোচ গুস্তাভো আলফারোর অধীনে এভাবেই পুরো ইকুয়েডর বিশ্বকাপের আগে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর চেষ্টা করেছে।

কাতার এর আগে তিনবার ইকুয়েডরের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলেছে। এর মধ্যে একটিতে জয়, একটি ড্র ও একটি পরাজিত হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর