১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল। সেমির নিশ্চিতে মাঠে লড়ছিল আর্জেন্টিনা ও ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচে ২-১ গোলে ইংলিশদের কোয়ার্টার থেকেই বিদায়ের ঘণ্টা বাজিয়ে দেয় ডিয়েগো ম্যারাডোনার দল।
বিশ্বকাপের সে আসরে শিরোপা জিতলেও কোয়ার্টার ফাইনালে ঘটা একটি ঘটনায় বিতর্ক পিছু নেয় আর্জেন্টাইনদের।
ওই ম্যাচে বিতর্কিত ছিল ম্যারাডোনার করা প্রথম গোলটি। ইংল্যান্ডের বক্সে সতীর্থের দেওয়া বল হেড করার জন্য লাফিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। মাথা দিয়ে সেটির নাগাল না পাওয়ায় হাত দিয়ে বল জালে পাঠান তিনি। আর সেই গোলেই ১-০ তে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
ইংলিশ ফুটবলাররা তৎক্ষণাৎ গোল হ্যান্ডবলের ও গোল বাতিলের আবেদন জানান। কিন্তু তাতে সাড়া না দিয়ে গোলের সিদ্ধান্তেই অটল থাকেন ম্যাচের দায়িত্বে থাকা রেফারি আলী বিন নাসের।
নাসেরের মতে সেদিন তিনি গোলের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন ফিফার নিয়ম মেনে। বিশ্ব ফুটবল সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, রেফারি কোন সিদ্ধান্তে সন্দেহ থাকলে সহকারী রেফারির সাহায্য নেয়া যায়। সহকারী রেফারির সিদ্ধান্তই তখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হিসেবে গণ্য করা হয়।
নাসের গোলের পর সাইড লাইনে থাকা সহকারী রেফারি ডোটচেভের কাছে জিজ্ঞেস করেছিলেন। সেখান থেকে গোল বাতিলের কোন নির্দেশনা না আসায় গোলের সিদ্ধান্তেই অটল ছিলেন নাসের।
ফোর্বস ম্যাগাজিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নাসের বলেন, ‘তখন আমি বক্সের এক কোণায় ছিলান, সেখান থেকে এমনিতেই ভালোভাবে দেখা যাচ্ছিল না। তার ওপর সে সময় আমার সামনে ইংল্যান্ডের কয়েকজন ফুটবলারও ছিল। সহকারী রেফারি ডোটচেভ খুব ভালোভাবে পুরো বিষয়টা দেখতে পারছিল। গোল হওয়ার পর তার দিকে তাকিয়েছিলাম, কিন্তু গোল বাতিলের জন্য সে আমাকে কোনো নির্দেশনা দেয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার কাছে সন্দেহ লাগছিল, কিন্তু সহকারী রেফারি যেহেতু আরো ভালো অবস্থানে ছিল তাই তার সিদ্ধান্তের ওপর বিশ্বাস রাখতে হয়েছে। ফিফার আইনে বলা আছে, যদি সহকারী রেফারি ভালো অবস্থানে থাকে তখন তার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। তাই আমি গোলটি বাতিল করিনি।