আগামী সপ্তাহেই শুরু হচ্ছে ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর ফিফা বিশ্বকাপ। কাতারে অনুষ্ঠেয় এই বিশ্বকাপে অন্যান্য বারের মতো এবারও হট ফেভারিট দল আর্জেন্টিনা। এরই মধ্যে লিওনেল মেসির নেতৃত্বে ঘোষণা করা হয়েছে আর্জেন্টিনার শক্তিশালী স্কোয়াড।
২০১৪ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপেও খেলেছিলেন ৫টি বিশ্বকাপে অংশ নেয়া মেসি। সেবার ফাইনাল খেলেছিল আর্জেন্টিনা। জার্মানির বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে শিরোপার খুব কাছে গিয়ে ফিরে আসতে হয় মেসিদের।
এবার স্কোয়াড ঘোষণার পর এই দলের সঙ্গে ২০১৪ সালের দলটির মিল খুঁজে পেয়েছেন মেসি। দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড় ছন্দে থাকায় মেসি নিজেও আত্মবিশ্বাসী। সেবার শিরোপার কাছাকাছি গিয়ে ফিরে এলেও নতুন প্রজন্মের ফুটবলাররা এবার মেসির আক্ষেপ দূর করতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
কাতারা বিশ্বকাপে ডাক পাওয়া লওতারো মার্তিনেজ দারুণ ছন্দে আছেন। মিডফিল্ডে রদ্রিগো ডি পল যেন একজন নেতা। গোলবারে এমি মার্তিনেজ ও রক্ষণে ক্রিস্টিয়ান রোমেরো দলের আস্থা বাড়িয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকে ২০১৪ বিশ্বকাপের গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরো এবং ডিফেন্ডার পাবলো জাবালেতার মিল পান।
সংবাদমাধ্যম অলেকে এক সাক্ষাৎকারে লিও মেসি বলেছেন, ‘এই দলের মানসিক শক্তি, একসঙ্গে খেলা দলটিকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।’
মেসি আরও বলেন, ‘২০১৪ বিশ্বকাপে আমরা দারুণ খেলেছিলাম। যা আমাদের জন্য মনে রাখার মতো একটি অভিজ্ঞতা ছিল। সেবার আমি খেলা উপভোগ করেছিলাম এবং বুঝতে পেরেছিলাম দলগতভাবে খেলা কতটা জরুরি।’
তিনি যোগ করেন, ‘দলগতভাবে খেলা আমাদের সাফল্যের অন্যতম কারণ ছিল। এখন তা আমাদের কাছে পরিষ্কর হয়ে গেছে। আমরা তখন আসলেই শক্তিশালী দল ছিলাম। এবারের দলটির মধ্যে একসঙ্গে থাকার, খেলার প্রক্রিয়ার মধ্যে ২০১৪ বিশ্বকাপের ওই দলের মধ্যে আমি অনেক মিল খুঁজে পাচ্ছি।’
২২ নভেম্বর নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪ টায় সৌদি আররের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। ২৬ নভেম্বর মেক্সিকোর বিপক্ষে এবং ৩০ নভেম্বর পোল্যান্ডের মুখোমুখি হবে মেসিরা। দুটি ম্যাচই বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় অনুষ্ঠিত হবে।