টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের টিকিয়ে রাখার মিশনে ভারতের বিপক্ষে খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে থেকে মাঠে নামে টাইগাররা। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লাল সবুজের প্রতিনিধিদের হারতে হয়েছে ৫ রানে।
ভারতের দেয়া ১৮৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে উইকেট না হারিয়েই স্কোরবোর্ডে তারা তোলে ৬০ রান। ম্যাচের সে সময়কার পরিস্থিতি আশা দেখাচ্ছিল বাংলাদেশকে।
কিন্তু ম্যাচের সপ্তম ওভারে বাগড়া বাধায় বৃষ্টি। যে কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য ৪ ওভার কমিয়ে আনা হয়। বৃষ্টি আইনে সেই সুবাদে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫৪ বলে ৮৫ রানের। তখনও ১০ উইকেট অক্ষত টাইগারদের।
পাশার দান পুরো বদলে যায় বৃষ্টি-বাধা কাটিয়ে মাঠে নামার পর। যেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল বাংলাদেশের হাতে, সেই ম্যাচেই চোখের পলকে ব্যাক-টু-ব্যাক উইকেট হারানোয় ব্যাকফুটে চলে যায় সাকিব বাহিনী।
আমরা মিডল ওভারে দুই তিনটা উইকেট হারিয়ে ফেলি, তখন ওই মুহুর্তে আমাদের জন্য কঠিন হয়ে গিয়েছিল খেলায় ফেরার জন্য। নুরুল ও তাসকিন খুবই ভালো ব্যাটিং করেছে, আমাদের খেলায় ফিরিয়ে এনেছে।’
জয়ের কাছাকাছি গিয়েও হারের কারণ হিসেবে সাকিব আল হাসান মনে করছেন মোমেন্টাম হারিয়ে ফেলাতেই ছিটকে গেছে দল। ম্যাচ শেষে সংবাদসম্মেলনে সাকিব বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলো এমন। প্রতি ওভার প্রতি বলে মোমেন্টামটা পরিবর্তন হতে থাকে। ম্যাচ একবার ওদের দিকে যাচ্ছিল একবার আমাদের দিকে আসছিল। শেষ ২ ওভারে যদি অনেক দলই আছে ৩০ রান করে। এ কন্ডিশনে এটা এমন কঠিন কিছু না। আমরা করতে পারিনি এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য। তবে এ ম্যাচ থেকে আমরা অনেক ইতিবাচক বিষয় নিতে পারি।’
অধিনায়কের মতে বৃষ্টির পর নতুন টার্গেট তাড়া করার অবস্থায় ছিল বাংলাদেশ। এমনকি স্বীকৃত ব্যাটাররা আউট হয়ে যাওয়ার পরও যখন নুরুল হাসানের সঙ্গে তাসকিন আহমেদ ব্যাট করছিলেন সে সময়ও জয়ের সম্ভাবনা ছিল দলের।
সাকিব বলেন, ‘৫২ রান হাতে ৮ উইকেট ও ৫ ওভার ছিল। আমাদের যে ব্যাটিং লাইনআপ, তাতে সামর্থ্য ছিল ওই রান তাড়া করার। দুর্ভাগ্যজনকভাবে হয় নাই। মিডল ওভারে ২-৩টা উইকেট হারিয়ে ফেলায় আমাদের জন্য খেলায় ফেরা কঠিন হয়ে গিয়েছিল। সোহান ও তাসকিন খুবই ভালো ব্যাটিং করেছে,।আমাদের খেলায় ফিরিয়ে এনেছে।’