টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার মিশনে ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত শুরুর পর খেই হারিয়েছে বাংলাদেশ। বৃষ্টির বাধা টপকে মাঠে নামার পরপরই সাজঘরে ফিরেছেন জাতীয় দলের ৪ ব্যাটার।
১২ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১০২ রান তুলেছে টাইগাররা। জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৩ বলে ৫১ রান।
ভারতের দেয়া ১৮৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে মারকুটে ভূমিকায় অবতীর্ণ হন লিটন কুমার দাস। সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্ত টি-টোয়েন্টি মেজাজ ভুলে উইকেটে বসে থাকলেও রানের তুবড়ি ছোটান লিটন।
৬টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ২১ বলেই তুলে নেন চলতি বিশ্বকাপের ব্যক্তিগত প্রথম অর্ধশতক। এবারের বিশ্বকাপে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন অস্ট্রেলিয়ার মার্কাস স্টয়নিস।
আর ২০০৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে নাজিমুদ্দিনের ফিফটির পর এই প্রথম টি-টোয়েন্টির পাওয়ার প্লেতে ফিফটি করলেন বাংলাদেশের কোনো ব্যাটার।
লিটনের মারমুখী ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬০ রান তোলে বাংলাদেশ।
বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগপর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ৬৬ রান।
প্রায় আধা ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকার কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য ৪ ওভার কমিয়ে আনা হয়। আর বাংলাদেশের সামনে সেই সুবাদে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫৪ বলে ৮৫ রান।
টাইগাররা যখন মাঠে নামে সে সময় আউটফিল্ড পুরোপুরি শুকায়নি। আর সেই ভেজা আউটফিল্ডে দৌড়ে রান নিতে গিয়ে হোঁচট খান লিটন দাস। লোকেশ রাহুলের সরাসরি থ্রোতে ২৭ বলে ৬০ করে আউট হন লিটন দাস।
লিটনের বিদায়ের রেশ কাটানোর মিশনে হাত খুলে ব্যাটিং শুরু করেন শান্ত। কিন্তু মোহাম্মদ শামিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারির কাছে সুরিয়াকুমারের হাতে ধরা দেন তিনি। আর তাতেই সমাপ্তি ঘটে শান্তর ২৫ বলে ২১ রানের ইনিংসের।
ব্যর্থ হন আফিফ হোসেন ধ্রুব আর সাকিব আল হাসানও। আর্শদিপ সিংয়ের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে মিসটাইমিংয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। আর তাতেই ১০০ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে বাংলাদেশের।
১৩ তম ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ১ রান করে আউট হন ইয়াসির রাব্বি।