টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকার ম্যাচে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৮৫ রান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রানের পুঁজি নিয়ে মাঠ ছাড়ে রোহিত শর্মার দল।
অ্যাডেলেইডের বাউন্সি উইকেটে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দেখেশুনে করেন ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল।
ভারতের সতর্ক শুরু পরও চতুর্থ ওভারে সফলতা পায় টাইগাররা। আগের ওভারে স্কয়্যার লেগে রোহিতের ক্যাচ ছেড়ে দেয়া হাসান মাহমুদ বল হাতে এসে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে। ৮ বলে ২ রান করে ইয়াসির আলির হাতে ক্যাচ দেন রোহিত।
দ্রত উইকেট পতনে পাওয়ার প্লেতে ভারতের রানের চাকার লাগাম টেনে ধরতে সক্ষম হয় টাইগার বোলাররা। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ভারত এক উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ৩৭ রান।
রোহিত অল্পতে মাঠ ছাড়লেও সময় গড়ানোর সাথে সাথে রানের গতি বাড়ায় ভারত। ভিরাট কোহলিকে সঙ্গে নিয়ে লোকেশ রাহুল দলকে নিয়ে যেতে থাকেন বড় সংগ্রহের দিকে।
থিতু হয়ে বসা এই জুটি ভাঙ্গে সাকিব আল হাসানের কল্যাণে দশম ওভারে এসে। মাঠ ছাড়ার আগে রাহুলের ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ৫০ রান।
এরপর ঝড় তোলেন সুরিয়াকুমার ইয়াদভ। ২ রানে সোহানের হাতে জীবন পেয়ে মারকুটে ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তিনি।
১৪তম ওভারে সাকিবের দ্বিতীয় শিকার বনে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। দুর্দান্ত এক স্লোয়ারে দিয়ে ১৬ বলে ৩০ করা সুরিয়াকুমারকে থামিয়ে দেন টাইগার অধিনায়ক।
এক ওভার পর হাসান মাহমুদের বাউন্সার লাফিয়ে মারতে গিয়ে ইয়াসির আলি রাব্বির হাতে ধরা দেন হার্দিক পান্ডিয়া। মাঠ ছাড়ার আগে তিনি খেলেন ৬ বলে ৫ রানের ইনিংস।
উইকেটের একপ্রান্ত আগলে ধরে ৩৭ বলে চলতি বিশ্বকাপের তৃতীয় অর্ধশতক তুলে নেন কোহলি।
১৭ তম ওভারে বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আগেই রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন দীনেশ কার্তিক। হাসানের তৃতীয় শিকার হয়ে ৭ রানে মাঠ ছাড়েন আক্সার প্যাটেলও।
শেষ দিকে রভিচন্দ্রন আশউইনের ৬ বলে ১৩ আর কোহলির অপরাজিত ৬৪ রানের সুবাদে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৮৫ রানের পুঁজি নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত।
বাংলাদেশের হয়ে ৩টি উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। দুটি উইকেট যায় সাকিবের ঝুলিতে।