জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ রানের নাটকীয় জয়ের সুবাদে সেমিফাইনালে খেলার আশা টিকিয়ে রাখল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের করা ১৫১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শেষ ওভারের নাটকে ১৪৭ রানে থেমে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংসের চাকা।
জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করা পেইসারদের ৪ ওভারের কোটা পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় শেষ দুই ওভার করার দায়িত্বভার বর্তায় দুই স্পিনারের ওপর।
১৯তম ওভারটি করতে আসেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। উইকেটে ছিলেন থিতু হয়ে দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে টেনে নিয়ে যাওয়া শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্ল। সেই ওভারের প্রথম তিন বলে ৭ রান তোলেন এই দুই ব্যাটার।
ওভারের চতুর্থ বলটি হালকা ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেলের জন্য দৌড় দেন শন উইলিয়ামস। বোলিং প্রান্ত থেকে দৌড়ে গিয়ে বল ধরে সেকেন্ড বিলম্ব না করে স্টাম্পে থ্রো করেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার।
সেই থ্রোতেই রান আউট হন উইলিয়ামস। আর তাতেই ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়। রান আউটের শিকার বনে ৪২ বলে ৬৪ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি।
উইলিয়ামস মাঠ ছাড়ার পর জিম্বাবুয়ের জয়ের আশা এক প্রকার শেষ ধরে নেয়া হয়েছিল, কিন্তু নাটকের বাকি তখনও।
শেষ ওভারে বল করতে আসেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। জয়ের জন্য তখন রোডেশীয়দের প্রয়োজন ছিল ৬ বলে ১৬ রান।
ওভারের প্রথম বল লেগ বাই দেন এ স্পিনার। পরের বলে ইভান্সের উইকেট তুলে নিলেও তৃতীয় বলে লেগ বাইয়ের সুবাদে আসে ৪। আর চতুর্থ বলে মোসাদ্দেককে ছক্কা হাঁকান এনগার্ভা।
ছক্কা হজম করেই ওভারের পঞ্চম বলে এনগার্ভার উইকেট তুলে নেন মোসাদ্দেক। জিম্বাবুয়ের জয়ের জন্য তখন প্রয়োজন ১ বলে ৫ রান।
শেষ বলটি উইকেটের পেছনে চলে যায়। আর সেটি ধরে মুজরাবানিকে স্ট্যাম্পিং করেন নুরুল হাসান সোহান। তাতেই ৪ রানের জয় নিয়ে উল্লাস করতে করতে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা।
সে সময় বিধাতা হয়তো লিখে রেখেছিলেন অন্য এক নাটক। এ কারণে জয় জেনে মাঠ ছাড়ার পরও ফের একই জায়গায় ফিরতে হয় টাইগারদের।
নো বল হওয়ায় জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন দাঁড়ায় ১ বলে ৪ রানের। তবে এবার আর বিপত্তি ঘটেনি। ফ্রি হিটের বলটি মিস করেন মুজরাবানি। আর তাতেই ৩ রানের জয় পেয়ে আরও একবার উল্লাস করতে করতে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা।