চলতি বিশ্বকাপে যেন খোলস ছেড়ে বের হতে পারছেন না টাইগার দলপতি সাকিব আল হাসান। সুপার টুয়েলভে এখন পর্যন্ত খেলা দুই ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে যথাক্রমে ৯ বলে ৭ (নেদারল্যান্ডস) ও ৪ বলে ১ (দক্ষিণ আফ্রিকা)।
বল হাতেও একই দশা দেশসেরা এই অলরাউন্ডারের। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩ ওভারেই খরচ ৩৩, যদিও উইকেট ২টি।
দুই ম্যাচেই হাত খোলার আগেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাঁহাতি এই ব্যাটারকে। প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বাউন্ডারি লাইনে সাকিব ধরা পড়েন লেগ স্পিনার সারিজ আহমেদের বলে। বলটি অনায়েসেই ছক্কা হতে পারতো। কিন্তু ভাগ্য সহায় না হওয়ায় ধরা পড়েন বাউন্ডারি লাইনে।
দ্বিতীয় ম্যাচে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে এনরিখ নরকিয়ার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়েন। আউট হওয়ার পর রিভিউ নিতে গিয়েও শেষ পর্যন্ত নেননি। যদিও টিভি রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা যায় বল আউট সাইড লেগ পিচড হয়েছে। সাকিব তখন রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন অনায়াসেই। কিন্তু এখানেও ভাগ্য সহায় হয়নি তার।
আর সে কারণেই দুই ম্যাচের পারফরম্যান্স বিবেচনায় সাকিবকে ‘দুর্ভাগা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন জাতীয় দলের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরণ শ্রীরাম।
শ্রীরাম বলেন, ‘সে বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার। সে নয় কি? নিউজিল্যান্ডে দারুণ একটা সিরিজ কাটিয়েছে। দুইটা দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছে। কিন্তু এখানে প্রথম ম্যাচে যেটা হল লেগ সাইডে ছোট বাউন্ডারি, লেগ স্পিনারের বিপক্ষে যে শট খেলেছে তা ১০০ বারের মধ্যে ৯৯ বারই ছক্কা হত।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু সে দুর্ভাগা ছিল, ধরা পড়ে যায়। গত ম্যাচেও সে দুর্ভাগা ছিল, এলবিডব্লিউর বিপক্ষে রিভিউ নেয়নি অথচ বল আউটসাইড লেগ ছিল। সাকিবের মতো একজন গ্রেট ক্রিকেটার এভাবে দুইবার দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হওয়া…’