টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাঁচা মরার লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জয়ে নিয়েই মাঠ ছেয়েছে শ্রীলঙ্কা। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১৬ রানে জয় পায় এশিয়ার চ্যাম্পিয়নরা।
সুপার টুয়েলভে খেলতে জয়ের বিকল্প ছিল না লঙ্কানদের। এমন সমীকরণে ম্যাচের চাপে পড়লেও কুশল মেন্ডিসের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ১৬২ রানের পুঁজি দাঁড় করায় শ্রীলঙ্কা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ডাচ ওপেনার ম্যাক্স ওডাউড দারুন খেললেও শেষ পর্যন্ত হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে নেদারল্যান্ডসের। ৯ উইকেটে ১৪৬ রানের বেশি করতে পারেনি ডাচরা।
প্রথম পর্বে নামিবিয়ার বিপক্ষে হেরে শঙ্কায় পড়লেও নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করেছে ২০১৪ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত হলেও কোন গ্রুপে খেলবে তা এখনো ঠিক হয়নি লঙ্কানদের। নামিবিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ম্যাচের পর সুপার টুয়েলভের গ্রুপে নিশ্চিত হবে তাদের।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচের শুরুটা ধীর গতির হয় শ্রীলঙ্কার। লঙ্কানদের হয়ে ইনিংসটাকে একাই টেনেছেন ওপেনার কুশল মেন্ডিস। ৩৬ রানে দুই উইকেট হারানোর পর চারিথ আসালঙ্কাকে নিয়ে ৬০ রানের জুটি গড়েন মেন্ডিস।
আসালঙ্কা ফিরেন ৩০ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলে। চতুর্থ উইকেটে ভানুকা রাজাপাকসে ও কুশল মেন্ডিস যোগ করেন আরো ৩৪ রান। ১৩ বলে ১৯ রান করে বিদায় নেন রাজাপাকসে।
৮ রানের বেশি করতে পারেননি অধিনায়ক দাসুন শানাকা। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে সাজঘরে ফিরেন কুশল মেন্ডিস। আউট হওয়ার আগে তিনি খেলেছেন ৪৪ বলে ৭৯ রানের ইনিংস। তার ইনিংসে ছিল ৫টি ছক্কা ও ৫টি চার।
ডাচদের পক্ষে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন পল ফন মিকেরেন ও বাস ডি লিডে।
রান তাড়ায় বেশিরভাগ সময়ই ম্যাচে ছিল না নেদারল্যান্ডস। চতুর্থ ওভারে বিক্রমজিত সিংকে ফিরিয়ে চাপে পড়ে ডাচরা। তিনে নেমে বাস ডি লিড শুরুটা পেলেও বাড়তে পারেননি। তাকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান লাহিরু কুমারা।
খানিক পর কলিন অ্যাকারম্যান তুলে নেন হাসারাঙ্গা। ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পাশাপাশি রানের চাকাও মন্থর হয়ে যায় তাদের।
টম কুপার নেমে থিতু হতে বাড়তি সময় নেন। মাঝের ওভারে ডট বলের চাপ জয় করতে পারেননি। ১৯ বলে ১৬ করে তিনি বোল্ড হন মাহেশ থিকসানার অফ স্পিনে।
অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস জয়ের দেখাচ্ছিলেন আশা দেখালেও বেশি দূর যেতে পারেননি তিনি। ১৫ বলে ২১ রান করে আউট হন তিনি। টি-টোয়েন্তি মেজাজে খেলতে না পারায় তৈরি হয় রান ও বলের বেশ পার্থক্য।
শেষ মুহূর্তে কিছুটা উত্তাপ ছড়ান ওপেনিংয়ে নামা ওডাউড। ৫৩ বলে ৬ চার, ৩ ছক্কায় তিনি অপরাজিত থাকেন ৭১ রানে। যা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
লঙ্কানদের পক্ষে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ২৮ রানে নেন ৩ উইকেট।