আগের বার এশিয়া কাপের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করলেও এবার ঘরের মাঠে আলো ছড়াতে পারেনি বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। নারী ক্রিকেট দলের ধারাবাহিকতা রাখতে নতুন ক্রিকেটার তৈরির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ছেলেদের পাইপলাইনে স্কুল ক্রিকেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও মেয়ের ক্ষেত্রে তা এখনও হয়ে ওঠেনি। এবার নারী ক্রিকেটে উন্নতির লক্ষ্যে চালু হচ্ছে স্কুল ক্রিকেট। এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির নারী উইংয়ের প্রধান শফিউল ইসলাম চৌধুরি নাদেল।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের ম্যাচ চলাকালীন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন নাদেল। সে সময় স্কুল ক্রিকেট শুরুর সম্ভাব্য সময় জানান তিনি।
দুই বছর আগের পরিকল্পনা হলেও করোনা মহামারির কারণে তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। এবার তা নতুন করে আবারও চালু করতে প্রস্তুত বিসিবি। নাদেল বলেন, ‘আমরা এই বছরের ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে আমরা স্কুল ক্রিকেট চালু করবো। আমরা যদি প্রত্যেকটা বিভাগীয় শহরের ৬-৭ টা স্কুল নিয়ে করি, আপনি দেখেন কতগুলা খেলোয়াড় পেতে পারি।’
এবারের এশিয়া কাপে নক আউট পর্বে উঠতে ব্যর্থ হয় স্বাগতিক বাংলাদেশ। দলের ব্যর্থতা ও সেটা থেকে উত্তরণের পথও খুঁজবে বোর্ড এমনটা জানান নাদেল।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাগতিক, গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ছিলাম। আমাদের প্রস্তুতি ছিল। খেলোয়াড়দের সামর্থ্য আছে। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা পারিনি। এটাই হলো বাস্তবতা। আমাদের কোন কোন জায়গায় ঘাটতি আছে, সেগুলো আমাদের দ্রুত সংশোধন করতে হবে।’
‘আগামী টুর্নামেন্ট বা সিরিজের জন্য আমাদেরকে প্রস্তুত হতে হবে। যেটা গেছে, সেটা নিয়ে অবশ্যই আলোচনা করব। সংশোধনের পথ খুঁজব।’