গ্লাসগো রেঞ্জার্সের মাঠে তাদের নিয়ে ম্যাচের শুরু থেকে ছেলেখেলা করে লিভারপুল, সেটি সাইডলাইনে বসে ৬৮ মিনিট পর্যন্ত দেখছিলেন মোহামেদ সালাহ। ৬৯তম মিনিটে যখন তিনি ডারউইন নুনিয়েসের বদলি হয়ে নামলেন, তখন লিভারপুল ৩-১ গোলে এগিয়ে।
মাঠে নামার ৭ মিনিটের মাথায় নিজের গোলের খাতা খুলে বসেন মিসরীয় এই স্ট্রাইকার। তখনও তিনি জানতেন না, কী ইতিহাস অপেক্ষা করছে।
পরে ৬ মিনিট ১২ সেকেন্ডের মাথায় রেঞ্জার্সের জালে আরও দুইবার আছড়ে পড়ে সালাহর বল। আর তাতেই হ্যাটট্রিক পূরণের পাশাপাশি ইতিহাস গড়েন লিভারপুলের এ স্ট্রাইকার।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে কম সময়ে হ্যাটট্রিক করে রেকর্ডবুকে নাম তুলেছেন তারকা এই ফুটবলার। তার রেকর্ডের রাতে দল জয় পেয়েছে ৭-১ গোলের ব্যবধানে।
এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে কম সময়ে হ্যাটট্রিক করার রেকর্ডটি ছিল ফরাসি স্ট্রাইকার বাফেতিম্বি গোমেসের। লিঁওর এই স্ট্রাইকার ২০১১ সালে ডিনেমো জাগরেবের বিপক্ষে ৮ মিনিটে হ্যাটট্রিক করে রেকর্ড গড়েন। ১১ বছর পর সালাহর হাত ধরে ভাঙল সেই রেকর্ড।
রেঞ্জার্সকে বিধ্বস্ত করার রাতে শুরুতে পিছিয়ে পড়েছিল লিভারপুল। ১৭ মিনিটের মাথায় স্বাগতিক দর্শকদের আনন্দে ভাসান স্কট আরফিল্ড।
কিন্তু এরপর অল রেডদের সামনে আর দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি রেঞ্জার্সদের পক্ষে।
গোল হজম করার ৪ মিনিটের মাথায় দলকে সমতায় ফেরান রবার্তো ফিরমিনো। প্রথমার্ধ সমতায় শেষ হলেও অল রেডদের ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয় দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে।
৫৫তম মিনিটে ব্যবধান ২-১ করেন ফিরিমানো। ১১ মিনিট পর ব্যবধান বাড়ান নুনিয়েস। গোল দেয়ার দুই মিনিটের মাথায় নুনিয়েসকে উঠিয়ে সালাহকে নামান ইউর্গেন ক্লপ।
৭৫তম মিনিট থেকে শুরু হয় সালাহর তাণ্ডব। ৮১ মিনিটের মাথায় হ্যাটট্রিকের কোঠা পূরণের পাশাপাশি লণ্ডভণ্ড করে দেন রেঞ্জার্স শিবির।
আর ৮৭ মিনিটে কফিনের শেষ পেরেকটি ঠুকে দিয়ে লিভারপুলের বড় জয় নিশ্চিত করেন হার্ভি এলিয়ট।
তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে এ-গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে আছে লিভারপুল। আর সব কটি ম্যাচ জয়ের সুবাদে টেবিলের শীর্ষে নাপোলি।