জাতীয় দলের একাদশে আসা-যাওয়ার ভেতরে থাকেন তিনি। যে কারণে দুই সিরিজ পর ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে সেটি লুফে নিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাট হাতে দুর্দশার দিন তার কাছ থেকে এসেছে দলের সর্বোচ্চ ৩৩ রানের ইনিংস।
টাইগারদের তরুণ খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম প্রতিভাবান ধরা হয় শান্তকে। একইভাবে ভয়টাও ছিল প্রতিভার প্রতি সুবিচার করতে না পেরে হারিয়ে যাওয়ার। তবে, শান্ত জানালেন প্রত্যাশার বাড়তি চাপ তার ওপর কখনই ছিল না। ব্যাট হাতে নিজের সামর্থ্যের প্রতি সবসময়ই আস্থা রেখেছেন তিনি।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে কোচিং স্টাফ ও নির্বাচকেরা সবসময় সমর্থন দিয়েছেন। সবাই পাশে ছিলেন। নিজের দক্ষতার ওপর আমার বিশ্বাস আছে। একটা খারাপ সময় গেছে। তাই চেষ্টা থাকবে সামনে সুযোগ আসলে ধারাবাহিকতা ধরে রাখার।’
নিউজিল্যান্ডের মতো কঠিন কন্ডিশনে নতুন পজিশনে ব্যাট করতে হয়েছে শান্তকে। তবে, এ ব্যাটার জানালেন সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন।
শান্ত বলেন, ‘কোচ ও নির্বাচকদের সঙ্গে আগেই কথা হয়েছে। আগে থেকে জানতাম যদি সুযোগ পাই তাহলে আমাকে ওপরের দিকেই ব্যাট করতে হবে। সেভাবেই আমি যখন প্রাকটিস করেছি তখন নতুন বলের প্রস্তুতিই নিয়েছি।’
ম্যাচে শেষে সাকিব আল হাসান জানিয়েছিলেন টপ অর্ডারের ব্যর্থতার কথা। শান্ত অধিনায়কের কথার সঙ্গে যোগ করলেন মিডল অর্ডারে দ্রুত উইকেট হারানোর বিষয়টিও।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় মিডল অর্ডারে আমরা পরপর উইকেট হারিয়েছি। আসলে প্রথম ইনিংসে উইকেট এত সহজ ছিল না। আমরা আরেকটু স্মার্ট ক্রিকেট খেললে আরেকটু বড় স্কোর হতে পারত’