ব্যাটারদের ব্যর্থতা যেন নিত্যদিনের চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের জন্য। কখনো টপ অর্ডার, কখনো বা মিডল অর্ডার। ব্যাটারদের ব্যর্থতার খেসারত পরাজয় দিয়ে দিয়ে আসতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
শুধু ব্যাটিং ইউনিট নয়। প্রবল সমস্যা রয়েছে বোলিং ইউনিটেও। চাপের সময় বোলারদের লাইন লেংথহীন বলের কারণে বাংলাদেশের হারের নজিরও কম না।
এখানেই শেষ না। ব্যাটিং ইউনিটে টপ অর্ডারদের ব্যাটিং বিপর্যয় ভোগাচ্ছে বাংলাদেশকে লম্বা সময় ধরে। টি-টোয়েন্টির মারকুটে মেজাজটা এখনও খুঁজে পাননি লিটন-সাব্বিররা।
ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষের ম্যাচে প্রথম ৫ ব্যাটারের ব্যাট থেকে এসেছে মোট ৭টি চার। এই সাত বাউন্ডারির সবগুলো এসেছে প্রথম তিন ব্যাটারের ব্যাট থেকে। ৫ জনের ব্যাটিংয়ে একটিও ছিল না ছক্কার মার।
পুরো ইনিংসজুড়ে বাংলাদেশ ছয় হাঁকিয়েছে মোট ২টি। সেটিও শেষদিকে এসেছে নুরুল হাসান সোহানের ব্যাট থেকে।
দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার মূল কারিগর টপ তিন ব্যাটারের ব্যাটে এসেছে মোট ৫৯ রান। ৯ ওভারের ভেতর সাজঘরে ফিরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন কুমার দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ডের দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে ওপেনার ফিন অ্যালেন ১৮ বলে ১৬ করে ফিরলেও আরেক ওপেনার ডেভন কনওয়ে খেলেন হার না মানা ৫১ বলে ৭০ রানের ইনিংস। তিনে নামা কেইন উইলিয়ামসনের ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ৩০ রান। কনওয়ে আর উইলিয়ামসনের ব্যাটে ভর করে বড় জয়ের ভিত শুরুতে গড়ে তোলে স্বাগতিকরা। কেবল দুই উইকেট হারিয়ে ১৯ বল হাতে রেখে হেসেখেলে জয় বাগিয়ে মাঠ ছাড়ে নিউজিল্যান্ড।
বাংলাদেশ দলের টপ থ্রির কাছ থেকে আরও দায়িত্বশীল ব্যাটিং প্রত্যাশা করেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ম্যাচ শেষে প্রতিক্রিয়ায় এমনটাই জানান বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার।
সাকিব বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের স্পিনাররা বেশ ভালো বল করেছে। আমাদের শুরুটা ভালো ছিল, কিন্তু তাদের স্পিনারদের বিপক্ষে আমরা মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারিনি। টপ থ্রির দায়িত্ব নিয়ে ১৫-১৬ ওভার পর্যন্ত খেলতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশনের বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে। ব্যাটিংয়ের দিকটায় আমাদের উন্নতি করতে হবে। টানা দুই ম্যাচে হারের পর শক্তি ধরে রাখা কষ্টকর। যেহেতু বিশ্বকাপ সামনে সে কারণে সামনের দুটো ম্যাচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’