টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে রান হয় ঝড়ের গতিতে। চার-ছক্কার তুবড়ি ছুটিয়ে ২২ গজে রানের বন্য বইয়ে দেয়া মূল লক্ষ্য থাকে ব্যাটারদের।
কিন্তু দৃশ্যপট বদলে যায় বাংলাদেশের বেলায় এসে। এখনও টি-টোয়েন্টি খেলার মেজাজটাই যেন তৈরি হয়নি বাংলাদেশের ব্যাটারদের। তার খেসারত লাল-সবুজদের আরও একবার দিতে হল ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর বিপক্ষে প্রবল প্রতাপে জয় বাগিয়ে নিলেও সদস্য দলগুলোর সামনে প্রতিনিয়ত খাবি খাচ্ছে বাংলাদেশ। ত্রিদেশীয় সিরিজেও বহাল রয়েছে ধারাবাহিকতা। শুধু বদলেছে প্রতিপক্ষ।
ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে সুবিধা করতে না পারলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে নিউজিল্যান্ড। সাকিব বাহিনীর বিপক্ষে তারা জয় পেয়েছে ৮ উইকেটে।
বাংলাদেশের ধীরগতির ব্যাটিংয়ে করা ১৩৭ রানের সংগ্রহকে ৮ উইকেট ও ১৩ বল হাতে রেখে টপকে গেছে স্বাগতিক দল।
সহজ রান তাড়ার মিশনে নেমে শুরুটা দেখেশুনে করে নিউজিল্যান্ড। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বাংলাদেশের প্রথম সফলতা আসে শরীফুল ইসলামের হাত ধরে। মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে ডিপ মিড উইকেটে ধরা দিয়ে ১৮ বলে ১৬ রান করে মাঠ ছাড়েন ওপেনার ফিন অ্যালেন।
এরপর ডেভন কনওয়ে ও কেইন উইলিয়ামসনের ব্যাটে ভর করে বড় জয়ের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে নিউজিল্যান্ড। দলীয় ১০৯ রানে হাসান মাহমুদের শিকার হয়ে উইলিয়ামসন ৩০ করে ফিরলেও সহজ জয় পেতে বেগ পেতে হয়নি স্বাগতিকদের।
শেষ পর্যন্ত কনওয়ের হার না মানা ৫১ বলে ৭০ আর গ্লেন ফিলিপসের অপরাজিত ৯ বলে ২৩ রানের সুবাদে ৮ উইকেট ও ১৯ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত হয় নিউজিল্যান্ডের।
এর আগে ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও শেষ পর্যন্ত সেটি ধরে রাখা সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের পক্ষে।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই হোঁচট খায় টিম টাইগার্স। সাউদির শিকার বনে ৫ রানে সাজঘরের পথ ধরতে হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে। মিরাজ ব্যর্থ হলেও সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে নিজের স্বভাববিরুদ্ধ মারকুটে ভূমিকায় অবতীর্ণ হন নাজমুল হাসান শান্ত।
লিটন তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি বেশি সময়ের জন্য। ১৬ বলে ১৫ করে দলীয় ৫৩ রানে মাঠ ছাড়েন তিনি।
সঙ্গীর বিদায়টা যেন মেনে নিতে পারছিলেন না শান্ত। সে কারণে স্কোরবোর্ডে ৭ রান যোগ করে আউট হন তিনিও। ইশ সোধির বলে চ্যাপম্যানের হাতে ধরা দিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ৩৩ রানের এক ইনিংস।
এরপর যথারীতি পুরনো রূপে ফিরে যায় বাংলাদেশ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের পাশাপাশি স্লো রান রেট সঙ্গী হয় সফরকারীদের।
শেষদিকে নুরুল হাসান সোহানের ১২ বলে ২৫ রানের ইনিংসে কিছুটা হলেও সান্ত্বনা খুঁজে নেয় বাংলাদেশ। ৮ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সামনে ১৩৭ রানের পুঁজি পায় সাকিব বাহিনী।
ব্ল্যাকক্যাপদের পক্ষে ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, ইশ সোধি ও মাইকেল ব্রেসওয়েল ২টি করে উইকেট নেন।