সাকিব আল হাসান মাঠে নামলেই রেকর্ড করেন, এমন একটি কথা বহুল প্রচলিত। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে খেলা ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে বিশ্রামের কারণে মাঠে নামা হয়নি টাইগার দলপতির। তার পরিবর্তে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন নুরুল হাসান সোহান।
সিরিজে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে পারলে সাকিব নাম লেখাতেন রেকর্ড বুকে। যেহেতু সে ম্যাচে খেলা হয়নি সাকিবের, তাই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের মধ্য দিয়ে অনন্য এক রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন দেশের ক্রিকেটের এই পোস্টারবয়।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামলে সাকিব নাম বনে যাবেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে লম্বা ক্যারিয়ারের মালিক। রোববার টি-টোয়েন্টি দলপতি টস করতে নামলে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলা টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার হবে ১৫ বছর ৩১৫ দিনের৷
সাকিব টপকে যাবেন মুশফিকুর রহিম ও ভারতের উইকেটকিপার ব্যাটার দিনেশ কার্তিককে।
সবচেয়ে লম্বা টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের আগের রেকর্ডটি ছিল কার্তিকের। বর্তমানে তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার আটকে আছে ১৫ বছর ৩০৭ দিনে।
তালিকার তিনে রয়েছেন সদ্য টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানানো বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ১৫ বছর ২৭৭ দিনের মাথায় থেমে গেছে তার ক্রিকেটের শর্টার ফরম্যাটের ক্যারিয়ার।
সাবেক দলপতি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের বয়স ১৫ বছরের৷ তামিমের ১২ বছর ১৯০ দিন৷
১০ বছরের বেশি টি-টুয়েন্টি ক্যারিয়ার আর ছিল তিন বাংলাদেশির। তিনজনই পেসার৷ এরা হলেন মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা, রুবেল হোসেন ও শফিউল ইসলাম।
একই সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব টস করতে নামলে মুশফিককে ছাড়িয়ে নাম লেখাবেন টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেয়া তৃতীয় অধিনায়ক হিসেবে।
বর্তমানে মুশফিক ও সাকিব সমান সংখ্যাক ২৩ বার দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশিবার জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৪৬টি ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব করেছেন তিনি।
দুইয়ে আছেন মাশরাফি। ২৮টি টি-টোয়েন্টিতে তিনি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।