অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য গত বুধবার দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিশ্বকাপের সেই স্কোয়াডে নেই অলরাউন্ডার মাহেদী হাসান।
এশিয়া কাপে খেলার সুযোগ পেলেও বিশ্বকাপের মূল স্কোয়াডে না থাকায় কিছুটা হতাশই হয়েছেন এ অলরাউন্ডার। তাকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।
মাহেদী তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। সেখানে দেখা যায়, সাকিব আল হাসানের চেয়েও বোলিংয়ে মিতব্যয়ী ছিলেন তিনি।
টি-টোয়েন্টিতে ২০২১ সালের জুলাই থেকে মিতব্যয়ী স্পিন বোলারদের অন্যতম মাহেদী। তার ইকোনমি রেট ৫.৭০, যেখানে সাকিব আল হাসানের ৬.৩০। অন্যদিকে অ্যাডাম জাম্পার ইকোনমি রেট ৬.৫৬, সিমি সিংয়ের ৬.৩৯ এবং আকিল হোসেনের ৬.৯৮।
ইকোনমি ভালো থাকলেও এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জ্বলে উঠতে পারেননি মাহেদী। ২ ওভার ২ বল করে ৩০ রান দিয়েছিলেন তিনি।
এসব বিষয়ে শুক্রবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘একজন বোলার সবার বিরুদ্ধে বোলিং করতে পারে। এ ক্ষেত্রে কোনো অজুহাত থাকতে পারে না। যেখানেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলবেন, আপনাকে চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।
‘আমি নিশ্চিত যে, ভবিষ্যতে আমার জন্য সুদিন আসবে, তবে আমি খেলা চালিয়ে যাব। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এতদূর এসেছি। ঘুরে দাঁড়াতে আমি আবারও চেষ্টা চালিয়ে যাব।’
স্কোয়াডে মূল দলে না থাকার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় দলের টেকনিক্যাল কোচ শ্রীধরন শ্রীরানকে দুষছেন না মাহেদী। ডোমিঙ্গোর মতো সময় পেলে শ্রীরামের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো বলেও মনে করছেন তিনি।
এ স্পিনারের মতে, সারা বছর ভালো খেলেও এক ম্যাচ খারাপ খেলে দল থেকে বাদ পড়েছেন।
তিনি বলেন, ‘যদিও আমি সারা বছর ভালো খেলেছি, এশিয়া কাপে (শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে) একটি ম্যাচে আমি খারাপ বোলিং করেছি, যা আমার জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই খেলায় ভালো করলে এ জিনিসগুলো সামনে আসত না।
‘আমি মনে করি এটি আমার ত্রুটি এবং আমাকে এই জায়গা থেকে উন্নতি করতে হবে; স্নায়ুর ওপর আরও নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে।’