সাফ উইমেনস চ্যাম্পিয়নশিপের চলতি আসরে ভারতকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর সোয়া ১টায় ভুটানের মুখোমুখি হচ্ছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে কাগজে-কলমে দুর্বল দলই বলা চলে ভুটানকে। আগের পাঁচটি সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে তিনবারের দেখায় সাবিনাদের বিপক্ষে কোনো গোলের দেখা পায়নি দলটি।
২০১০ সালে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত সাফে ভুটানের বিপক্ষে ৯-০ গোলে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০১২ সালে ১-০তে এবং ২০১৯ সালে ২-০ গোলের ব্যবধানে ভুটানকে হারিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা।
সাফের পাঁচ আসরে যারা গ্রুপ পর্বই পেরোতে পারেনি, তারা প্রথমবারের মতো গোল করে এবং গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে সেমিফাইনালে। গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কাকে ৫-০ গোলে ধসিয়ে দিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে ভুটান।
সেমিফাইনালে ভুটান প্রথম খেললেও দলটিকে হালকাভাবে নিতে চাননা বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বাানী ছোটন। অন্য দলগুলোর মতো ভুটানকেও সমীহের চোখে দেখছেন তিনি ও তার শিষ্যরা।
কোচ ছোটন বলেন, ‘অবশ্যই তারা (ভুটান) ভালো খেলে সেমিফাইনালে এসেছে। সে কারণে বলতে হয় তারা শক্তিশালী। আমরাও পুরো শক্তি নিয়ে নামব এবং তা প্রয়োগ করব। আমরা আমাদের খেলা খেলব। ইনশাল্লাহ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার যে দর্শন, তা হচ্ছে, তিনটা ম্যাচ মেয়েরা খেলে এসেছে। এখন আরেকটা ম্যাচে পারফর্ম করবে। সেমিফাইনাল হচ্ছে নকআউট খেলা; এটা কোনো লিগের খেলা না।
‘এই দুই দিন সব বিষয় নিয়ে আমাদের আলাপ-আলোচনা হয়েছে। মেয়েরাও অবগত আছে এবং তারা সেমিফাইনালের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। এখানেও মূলত আমাদের (আগের ম্যাচগুলোর) পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে হবে এবং জয়লাভ করতে হবে।’
দলীয় ইনজুরি প্রসঙ্গে বাংলাদেশের কোচ বলেন, ‘স্বপ্নার কাফ পেশিতে একটু ব্যথা আছে। আজকে ওয়ার্মআপের পর ওকে বিশ্রাম দিয়েছি, যাতে করে কাল খেলতে পারে। বাকি সবাই ভালো আছে।’