লা লিগা থেকে জয়রথ শুরু হয়েছিল স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার। ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শুরুর ম্যাচেও তা অব্যাহত রাখতে পেরেছিল তারা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে এসে ছন্নছাড়া হয়ে গেল চাভি এর্নান্দেসের শিষ্যরা।
বায়ার্ন মিউনিখের ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় মঙ্গলবার রাতের ম্যাচে ২-০ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সা। ম্যাচের ৫০ থেকে ৫৪ মিনিটে দুই গোল হজম করে দলটি। এরপর আর কোনো দলই স্কোরলাইনে পরিবর্তন আনতে পারেনি।
২০২০ সালে বায়ার্নের কাছে ৮-২ গোলে হেরেছিল বার্সা। গত রাতের ম্যাচে সে স্মৃতি আড়াল করার সুযোগ এসেছিল উড়তে থাকা বার্সার সামনে। কিন্তু মাঠে রবার্ট লেওয়ানডোভস্কিদের ছন্দহীন খেলায় মাথা নিচু করেই মাঠ ছাড়তে হয় চাভির শিষ্যদের।
বায়ার্নের ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরুতেই চারটি সুযোগ পেয়েছিল বার্সেলোনা। কিন্তু তার কোনোটিই কাজে লাগাতে পারেনি দলটি। অন্যদিকে বাভারিয়ানদেরও সুযোগ ছিল বিরতির আগে লিড নেয়ার, কিন্তু তারা তাতে ব্যর্থ হয়।
বার্সেলোনার দুই তারকা পেদ্রি ও লেওয়ানডোভস্কির বেশ কিছু প্রচেষ্টা সফল হতে দেয়নি বায়ার্নের গোলকিপার মানুয়েল নয়্যার। এতে করে গোলশূন্য থেকে বিরতিতে যায় দল দুটি।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হলে পাঁচ মিনিটের মধ্যে চাভির সব পরিকল্পনা মাটি করে দেয় বায়ার্ন। দুই গোল হজম করে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েন পেদ্রি-লেভারা।
৫০তম মিনিটে জশুয়া কিমিখের কর্নার কিকে বল পোস্টের সামনে পড়লে তা ঠেকাতে গিয়ে মিস করে বসেন রাফিনিয়া। সেখানে সুযোগের অপেক্ষায় থাকা লুকাস হার্নান্দেজের শটে বল জালে জড়ালে লিড নেয় ইউলিয়ান নাগেলসমানের দল।
৫৪তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জার্মান তারকা লেরয় সানে। জামাল মুসিয়ালার কাছ থেকে বল পেয়ে শট করেন সানে। বার্সার গোলকিপার মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগান বলে হাত ছোঁয়ালে গতি কিছুটা কমে যায়। তবে শেষ রক্ষা করতে পারেননি দলকে।
বাকি সময় বলার মতো আর তেমন কোনও আক্রমণে যেতে পারেনি কোনো দলই।
২ ম্যাচে ২ জয় নিয়ে গ্রুপ ‘সি’র শীর্ষে বায়ার্ন। সমান ম্যাচে ১ জয় নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বার্সেলোনা।