টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মিশন শুরু আগে নিউজিউল্যান্ডের মাটিতে তাদের ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ৭ অক্টোবর পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের মধ্য দিয়ে শুরু হবে সিরিজটি।
ফাইনালের বাংলাদেশ উঠতে পারলে সিরিজটি শেষ হবে ১৪ অক্টোবর। নাহলে ১৩ অক্টোবর শেষ হবে টাইগারদের সিরিজটির আনুষ্ঠানিকতা। এরপর তাদের যেতে হবে অস্ট্রেলিয়াতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেয়ার জন্য।
সেখানে ১৭ অক্টোবর নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। এরপর ১৯ অক্টোবর থেকে শুরু করে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ লড়বে সাউথ আফ্রিকা, পাকিস্তান, ভারত ও বাছাইপর্ব থেকে জায়গা করে নেয়া একতি দলের বিপক্ষে।
গ্রুপ পর্ব উৎরাতে না পারলে ৬ নভেম্বর শেষ হবে টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন।
ত্রিদেশীয় সিরিজ ও বিশ্বকাপকে সামনে রেখে চলতি মাসে দেশ ছাড়বে জাতীয় দল। প্রায় টানা দেড় মাসে মতো স্কোয়াডে জায়গা করে নেয়া ক্রিকেটাররা থাকবেন সফরে।
আইসিসির বেঁধে দেয়া নিয়ম অনুযায়ী প্রতি দলে থাকবে ১৫ সদস্য। বাকি দেশগুলো যেখানে ১৫ জনের বাইরেও কয়েকজন স্ট্যান্ডবাই ক্রিকেটার রেখেছে বিকল্প হিসেবে সেখানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এখনও জানে না তাদের পরিকল্পনা।
ইনজুরি বা অন্য অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে একজন ক্রিকেটারের বদলি হিসেবে স্ট্যান্ডবাই থাকবেন কয়জন। তারা দেশে থাকবেন না দলের সঙ্গে গিয়ে অনুশীলন করবেন এ সব প্রশ্নের উত্তর জানা নেই বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের।
দল ঘোষণার একদিন আগেও বোর্ড সভাপতি জানেন না কি হতে যাচ্ছে দলে। এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
মঙ্গলবার বোর্ড সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পাপন বলেন, ’১৫ জনের বেশি নামের লিস্ট আইসিসিকে পাঠানো যাবে না। ওখানে রিপ্লেসমেন্ট হবে যদি শুধু চোট পায়। সে মোতাবেক ব্যাক আপ খেলোয়াড় আমরা রেডি রাখব।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু তারা বাংলাদেশে থাকবে, না ওই দেশে থাকবে, না আলাদা করে রাখব সেই বিষয়ে আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নেই নি। তবে যত দ্রুত সম্ভব হয় নেব। এখনও ১৫ জনের তালিকা পাইনি। তালিকা পাওয়ার পর দেখব কে কে আছে। এরপর আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’