এশিয়া কাপের শুরুটা লঙ্কানদের জন্য হয়েছিল দুঃস্বপ্নের মতো। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর বল হাতেও জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হয়েছিলেন লঙ্কান বোলাররা। কিন্তু পরের ম্যাচ থেকেই শ্রীলঙ্কাকে দেখা গেল ভিন্ন রূপে।
একে একে ফেভারিট দলদের হারিয়ে তারা জায়গা করে নেয় পঞ্চদশ আসরের ফাইনালে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে শুরু থেকে অন্যতম ফেভারিট পাকিস্তানকে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো এশিয়ার সেরা হয়েছে লঙ্কানরা।
এ জয়ে ৮ বছরের শিরোপা খরা কাটিয়ে এশিয়ান ক্রিকেটের রাজার আসনে বসল দাসুন শানাকার দল।
লঙ্কানদের ছুড়ে দেয়া চ্যালেঞ্জিং স্কোরের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকছিল পাকিস্তানের ব্যাটিং ইউনিট। কেবল ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান আর টপ অর্ডার ব্যাটার ইফতিখার আহমেদ ছাড়া কারো পক্ষেই সম্ভব হয়নি ১৫ রানের বেশি করার।
ম্যাচশেষে তাই জয়টা লঙ্কানদের প্রাপ্য ছিল বলে মন্তব্য করলেন পাকিস্তানি ওপেনার রিজওয়ান। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫ রানের ইনিংসটি আসে তার ব্যাট থেকে।
রিজওয়ান বলেন, ‘তারা সত্যিকারের চ্যাম্পিয়নদের মতো খেলেছে। জয়টা তাদেরই প্রাপ্য। তারা আমাদের চাপে ফেলেছে মোক্ষম সময়ে আর টস হেরেও ম্যাচটি জিতে নিয়েছে। আমরা ভুল করেছি, শ্রীলঙ্কা সেই সুযোগগুলো কাজে লাগিয়েছে। তারা আমাদের মোমেন্টাম কেড়ে নিয়েছে দুই ইনিংসের শেষেই।’
সব দলের বিপক্ষে পরিকল্পনা সফলভাবে বাস্তবায়নের ফলেই জয় এসেছে বলে মনে করছেন লঙ্কান অলরাউন্ডার ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।
ডি সিলভা বলেন, ‘আমি শুরুর দিকে খেলতে পারিনি। তবে সুযোগের অপেক্ষায় অনুশীলন চালিয়ে গিয়েছি। আমরা সব দলের বিপক্ষে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সফল ছিলাম।’
দলের জয়ে উৎফুল্ল শ্রীলঙ্কার হেড কোচ ক্রিস সিলভারউড। জয়ের কৃতিত্ব তিনি দিলেন পুরো দলকেই।
সিলভারউড বলেন, ‘এটা দুর্দান্ত! ওরা যেকোনো পরিস্থিতিতে যে কেউ সুযোগ নেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে। এটা আমাদের খেলার একটা পদ্ধতি। দলের সবার আত্মবিশ্বাস ও মেধা রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তরুণ পেইসারদের দিয়ে আক্রমণ শুরু করেছি। তারা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। একজনকে আলাদা করে খুঁজে নেয়া সম্ভব না। এটা দলীয় প্রচেষ্টা।’