চলতি মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পায়নি স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা। এরপর জয়ের ধারায় রয়েছে দলটি। মৌসুমের পঞ্চম ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন চাভি এর্নান্দেসের শিষ্যরা।
স্পেন সময় শনিবার ঘরের মাঠে কাদিসকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে টেবিলে শীর্ষস্থান দখল করে দলটি।
কাদিসের বিপক্ষে শেষ চারবারের সাক্ষাতে একবারও জয় পায়নি বার্সা। ২০২০-২১ মৌসুমে কাদিসের মাঠে ২-১ গোলে হারের পর দ্বিতীয় দেখায় ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দলটির। পরের ম্যাচে আবারও গোলশূন্য ড্রয়ের পর চতুর্থ ম্যাচে নিজেদের ঘরের মাঠে কাদিসের বিপক্ষে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বার্সাকে।
এবার সে অধরা জয়ের দেখা পেয়েছেন লেওয়ানডোভস্কিরা। প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার রাতের ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ংয়ের গোলে সফরকারীরা এগিয়ে গেলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেওয়ানডোভস্কি। পরে গোল করেন আনসু ফাতি ও উসমান ডেম্বেলে।
ম্যাচের শুরু থেকে দাপট দেখাতে পারেনি বার্সেলোনা। প্রথমার্ধের খেলায় গোলশূন্য রেখে বিরতিতে যেতে হয় তাদের। এর মূল কারণ ছন্দে থাকা তারকা খেলোয়াড়দের মধ্যে লেওয়ানডোভস্কি ও ডেম্বেলেকে বেঞ্চে রেখে একাদশ সাজান কোচ চাভি। মাঠেও লক্ষ্য করা যায় প্রভাব। চেষ্টা করেও গোলের দেখা না পেয়ে গোলশূন্য থেকেই বিরতিতে যায় বার্সা।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হলে জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বার্সেলোনা। সেই লক্ষ্যে ৫৫তম মিনিটের মাথায় ডি ইয়ংয়ের গোলে লিড নেয় কাতালানরা।
এরপর আক্রমণের ধার বাড়াতে তরেস, গাভি ও মেমফিস ডিপাইকে তুলে নিয়ে ডেম্বেলে, পেদ্রি ও লেভাকে নামান কোচ চাভি।
বদলি হিসেবে নেমেই গোলের দেখা পান চলতি মৌসুমে দারুণ ফর্মে থাকা লেওয়ানডোভস্কি। রাফিনিয়ার করা শট কাদিসের গোলকিপার ঠেকিয়ে দিলেও বল হাত থেকে ফসকে যায়। সেখান থেকে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি পোলিশ স্ট্রাইকার লেভা।
চলতি মৌসুমে বার্সায় অভিষেক হয় লেভার। টানা পাঁচ ম্যাচে লা লিগায় তার গোলের সংখ্যা ৬টি। সব মিলিয়ে তার গোল ৯টি।
শেষ মুহূর্তে গ্যালারিতে একজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ থাকে খেলা। পরে খেলা শুরু হলে দলের তৃতীয় গোলটি করেন আনসু ফাতি। এতে করে ৩-০ তে এগিয়ে যায় চাভির দল। এরপর অতিরিক্ত সময়ে স্কোরলাইন ৪-০ করেন ডেম্বেলে।
৫ ম্যাচ খেলে ৪টি জয় ও একটি ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টবিলের শীর্ষে রয়েছে বার্সেলোনা। অন্যদিকে এক ম্যাচ কম খেলে সব ম্যাচেই জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ১২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে কার্লো আনচেলত্তির রিয়াল।