সাফ উইমেনস চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে রয়েছে বাংলাদেশ নারী দলের ফুটবলাররা। প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত ম্যাচ খেলতে না পারলেও তরুণ দল নিয়ে দারুণ আত্মবিশ্বাসী কোচ গোলাম রাব্বানি ছোটন।
মালদ্বীপের বিপক্ষে নিজের প্রথম ম্যাচকে সামনে রেখে অনুশীলনে ব্যস্ত সময় পার করছেন জাতীয় দলের সদস্যরা। জিমে গিয়ে সোমবার অনুশীলন সেশন শুরু করে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। এরপর সুইমিং পুলে নেমে সাঁতার কেটে অনুশীলনের ধাপ সম্পূর্ন করেন সাবিনা-মনিকারা। রোববার বিকেলে রাজধানী কাঠমান্ডুর উপকণ্ঠে অবস্থিত আর্মি হেড কোয়ার্টাারের মাঠে দেড় ঘন্টা ঘাম ঝড়িয়েছে দলটি।
অনুশীলনে ব্যস্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা। ছবি: বাফুফে
অনুশীলনের পর বাংলাদেশ নারী দলের হেড কোচ ছোটন বলেন, ‘আপনারা জানেন এর আগে আমরা সাফের ৫টি আসরে অংশ নিয়েছি। একটিতে ফাইনাল খেলারও অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাকিগুলোর বেশ কটিতে সেমিফাইনাল খেলেছি।
‘এই দলটি গত কয়েক বছর ধরে বয়স ভিত্তিক দলে ভালো ফুটবল খেলছে। সর্বশেষ মালয়েশিয়ার বিপক্ষেও বেশ ভালো ফুটবল খেলেছে আমাদের মেয়েরা। ম্যাচ বাই ম্যাাচ লক্ষ্য থাকলেও আমাদের শেষ লক্ষ্য হচ্ছে সেমিফাইনাল টপকে ফাইনালে পৌঁছান।’
মালদ্বীপের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যচের পরিকল্পনা নিয়ে ছোটন বলেন, ‘মালদ্বীপের ঘরোয়া ফুটবল লিগে ৪ মৌসুম খেলেছেন আমাদের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। তাই দ্বীপ দেশটির ফুটবলারদের সম্পর্কে ভালো ধারণা রয়েছে তার। মালদ্বীপে তার খেলা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সতীর্থ বেশ কয়েকজন রয়েছেন এবারের জাতীয় দলে। সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে সেই ধারণা আর অভিজ্ঞতাই কাজে লাগাতে পারেন তিনি।’
সাবিনাকেই মালদ্বীপ ম্যাচে ট্রাম্পকার্ড মানছেন জাতীয় দলের কোচ গোলাম রব্বানী। তিনি বলেন, ‘আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ এগুতে চাই। সাফে প্রথম প্রতিপক্ষ মালদ্বীপ। ওই ম্যাচে সাবিনাই হবে আমাদের ট্রাম্পকার্ড। তিনি গোল করে দলকে অনেকবার জিতিয়েছেন। ওই দুই দলে তার সতীর্থ জাহিয়া, মাইসা, গোলকিপার লিজিসহ বেশ কজন রয়েছেন এবারের দ্বীপ দেশটির জাতীয় দলে। তাদের দুর্বলতার বিষয়ে শুনেছি এবং এর আলোকে পরিকল্পনা প্রনয়ন করেছি।’