আফগানিস্তানের পর শ্রীলঙ্কা। প্রতিপক্ষ বদলালেও বদলায়নি বাংলাদেশের ভাগ্য। আফগানদের বিপক্ষে শেষ ৫ ওভারে ৬০ রানের মতো খরচ করেছিল বাংলাদেশের বোলাররা। আর লঙ্কানদের বিপক্ষে শেষ ২ ওভারে দিয়েছে ২৫ রান।
নিজেদের শেষ ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পাশাপাশি বোলিং দিয়েও লঙ্কানদের টুঁটি চেপে ধরেছিল টাইগাররা। কিন্তু ডেথ ওভার বোলিং, মিস ফিল্ডিং আর অতিরিক্ত রানের কাছে এবারে হারতে হয়েছে লাল সবুজের প্রতিনিধিদের। একই সঙ্গে বিদায় নিতে হয়েছে এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্ব থেকে।
টুর্নামেন্টে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার মিশনে শ্রীলঙ্কাকে ১৮৪ রানের পাহাড়ে চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ ব্যাট হাতে। এরপর বোলিংয়ে এসে এবাদত হোসেন, তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমানের আঁটসাঁট বোলিংয়ে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যায় টাইগাররা।
কিন্তু এবাদতের এক ওভারেই ঘুরে যায় পাশার দান।
এবাদতের ১৯তম ওভারে নো বল, ওয়াইডের সুবাদে রান বলের পার্থক্য ১৩ থেকে দুইয়ে নেমে আসে। সেই ওভারে ১ নো আর ১ ওয়াইডের পাশাপাশি মোট ১৭ রান দেন ডানহাতি এ পেইসার।
আর শেষ ওভারে ১ নো দিয়ে ৩ বল আগেই শ্রীলঙ্কাকে জয়ের দেখা পাইয়ে দেন মাহেদী হাসান। আর তাতেই এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
ম্যাচ শেষে হারের কারণ হিসেবে গৎবাঁধা উত্তর মেলেনি সাকিব আল হাসানের পক্ষ থেকে। অধিনায়কের কণ্ঠেও ছিল ডেথ ওভারে বাজে বোলিংয়ের আফসোস।
ম্যাচ শেষে সাকিব বলেন, ‘ডেথ বোলিংয়ে আমাদের উন্নতি করতে হবে। এর জন্য মাশুল দিতে হয়। শেষ ২ ওভার যখন বাকি, তখন আমরা ৮ উইকেট তুলে নিয়েছিলাম। ওদের সে সময় লাগত ১৭-১৮ রান। এমন সময় তারা বেশ কিছু বল অতিরিক্ত পেয়েছে। আমরা ডেথ বোলিংয়ে ভালো না। শ্রীলঙ্কার প্রশংসা করতেই হচ্ছে, তারা স্নায়ু ঠান্ডা রেখে খেলেছে।’
ম্যাচ হারলেও বাংলাদেশ দলের মানসিকতা পরিবর্তনে অধিনায়ক যে সন্তুষ্ট সেটি স্পষ্ট বোঝা গেছে তার কথায়। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বেশ কয়েকটি জায়গায় উন্নতি দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সাকিব বলেন, ‘আমরা উইকেট তুলে নিতে চেয়েছিলাম পেইসাররা সেই কাজটি করেছে। শ্রীলঙ্কা চাপে ছিল। বোলাররা যখন বোলিং করে, তখন তাদের লক্ষ্য থাকে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের। গত ছয় মাসের পারফরম্যান্স দেখলে খেয়াল করবেন আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলতে পারিনি। কিন্তু আজকের ম্যাচটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ছিল। আমাদের অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের জন্য বেশ কয়েকটি জায়গায় কাজ করা দরকার।’