বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হার দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

  •    
  • ৩০ আগস্ট, ২০২২ ২৩:১৬

আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সাকিব বাহিনীকে হারতে হয়েছে ৭ উইকেটে। বাংলাদেশের করা ১২৭ রানের লক্ষ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯ বল হাতে রেখে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান।

মোড়ক বদলে এশিয়া কাপের মিশনে নামলেও বাজে পারফরম্যান্সের বেড়াজাল থেকে বের হয়ে হারের বৃত্ত ভাঙ্গা হল না বাংলাদেশের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সাকিব বাহিনীকে হারতে হয়েছে ৭ উইকেটে। বাংলাদেশের করা ১২৭ রানের লক্ষ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯ বল হাতে রেখে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান।

শ্রীলঙ্কার পর বাংলাদেশকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে সুপার ফোর নিশ্চিত করল মোহাম্মদ নাবির দল।

বাংলাদেশের দেয়া লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ধীরগতির হয় আফগানদের। ইনিংসের শুরুতে ম্যাচ নিজেদের হাতে রেখেছিল বাংলাদেশ।

দলীয় ১৫ রানেই সাকিব আল হাসানের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় রহমানুল্লাহ গুরবাজকে। এরপর একে একে মোসাদ্দেক ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের শিকার হয়ে আউট হন হজরতউল্লাহ জাজাই ও মোহাম্মদ নাবি।

দলীয় ৬২ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ১২৮ রানের লক্ষ্যটাকেও আফগানিস্তানের সামনে বড় মনে হচ্ছিল। কিন্তু ম্যাচের গতিপথ ঘুরিয়ে দেন দুই জাদরান।

নাজিবুল্লাহ জাদরানের ১৭ বলে ৪১ রানের টর্নেডো ইনিংস ও ইবরাহিম জাদরানের ৪১ বলে ৪২ রানের ইনিংসে নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের হার। দুইজনে মারকুটে ব্যাটিংয়ে ১৮.৩ ওভারে জয় নিশ্চিত করে আফগানিস্তান।

এর আগে, শারজার ব্যাটিংবান্ধব উইকেটের সুবিধা নিতে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে শুরু হয় বাংলাদেশের চিরচেনা ব্যাটিং ধস।

৮ বলে ৬ রান করে মুজিব উর রেহমানের প্রথম শিকার বনে মাঠ ছাড়েন নাঈম শেখ। মুজিবের গুড লেন্থের ক্যারম বলে স্টাম্প হারিয়ে সাজঘরের পথ ধরতে হয় তাকে।

মুজিব পরের ওভারে ফেরান আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয়কে। আফগান স্পিনারের বল সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়েন অভিজ্ঞ এ ওপেনার। ১৩ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় টাইগাররা।

নিজের শততম টি-টোয়েন্টি রাঙাতে ব্যর্থ হন সাকিব আল হাসানও। মুজিবের ক্যারম বলে পরাস্ত হয়ে ১১ রানে ফেরার পথ ধরতে হয় তাকে। এর সুবাদে পাওয়ার প্লেতে ২৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।

মুজিবের আঘাত সয়ে ওঠার আগে শুরু হয় রাশিদ খানের স্পিন বিষ। দলীয় ২৮ রানে মুশফিকুর রহিমকে ১ রানে সাজঘরের পথ দেখিয়ে পতন ঘটান বাংলাদেশের চতুর্থ উইকেটের।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যান আফিফ হোসেন। রাশিদ খানের এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে ১২ রানে মাঠ ছাড়তে হয় তাকেও। এতে করে ৫৩ রানে বাংলাদেশ হারায় ৫ম উইকেট।

আফিফ বিদায় নিলেও উইকেট কামড়ে রানের চাকা সচল রাখেন রিয়াদ। সঙ্গে নেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে। দুইজনে মিলে দলকে এগিয়ে নেন শতরানের দিকে।

দলীয় স্কোর ৮৯ রানের সময় রাশিদ খানের কারণে ২৫ রানে আউট হন রিয়াদ।

উইকেটে অবিচল থেকে রান করতে থাকেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তার ব্যাটিং দৃঢ়তায় দলীয় স্কোর শতরান ছাড়ায় বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটের খরচায় আফগানিস্তানের সামনে ১২৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় টাইগাররা। ৩১ বলে ৪৮ রান করে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক। তার ব্যাট থেকে আসে ১টি ছক্কা ও ৪টি চার।

আফগানিস্তানের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন রাশিদ খান ও মুজিব উর রেহমান।

এ বিভাগের আরো খবর