কমনওয়েলথ গেমসে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে শাস্তি পেলেন বাংলাদেশের দুই টেবিল টেনিস খেলোয়াড় সোনম সুলতানা ও সাদিয়া রহমান।
বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে ৫ আগস্ট টেবিল টেনিসের ডাবলসে ইংল্যান্ডের মারিয়া সাপসিনোস ও হো টিন টিন জুটির বিপক্ষে খেলার কথা ছিল সোনাম ও সাদিয়ার। কিন্তু ইভেন্টে অংশগ্রহণ না করে দুইজন লন্ডনে বেড়াতে গিয়েছিলেন।যে কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে ‘ওয়াকওভার’ পায় ইংল্যান্ড। এতে দুজনকে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেডারেশন। ওই ম্যাচের আগের দিন চোটে পড়ায় একক ম্যাচেও কোর্টে নামেননি সোনম। এতে সিঙ্গেলসেও ‘ওয়াকওভার’ দেয় বাংলাদেশ।
টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বার্মিংহাম গেমসে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘সোমা ৪ তারিখ সকালে একটি ম্যাচ জিতেছিল। ইনজুরির জন্য বিকেলের ম্যাচে ওয়াকওভার দেয়। অলিম্পিকের চিকিৎসক তাকে দেখে জানায় যে, বিশ্রাম নিলে পরের দিন খেলতে পারবে। পরদিন সকালে তারা আমাকে জানায় যে তারা লন্ডন যেতে চায়। আমি তাদের না করি ও বিষয়টি শেফ দ্য মিশনকে অবহিত করি।
‘বিকেলে খেলা থাকায় সকালে তার শারীরিক অবস্থা জানার জন্য শেফ দ্য মিশন চিকিৎসককে পাঠাতে চান। কিন্তু সোমা-মৌ কেউই ফোন ধরেননি। খেলার সময় ঘনিয়ে আসছিল আমি অসংখ্যবার ফোন করেছি। তারা ফোন রিসিভ করেননি। অনেকক্ষণ পর মৌ ফোন করে জানায়, তারা আশেপাশেই আছে। তবে ফেসবুক পোস্ট থেকে জানতে পারি, তারা লন্ডনে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিল।’
কমনওয়েলথ গেমস থেকে বাংলাদেশ দল তুরকিয়ের কনিয়াতে ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে অংশ নিতে যায়। দুই আসর থেকে দেশে ফেরার পর গত শনিবার টেবিল টেনিস ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় দুই খেলোয়াড়ের শৃঙ্খলাভঙ্গের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।শাস্তি হিসেবে সোনম ও সাদিয়াকে ঘরোয়া পর্যায়ে ২ বছর ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ৩ বছর নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে নিউজবাংলাকে জানান জাহাঙ্গীর।
তবে, দুই খেলোয়াড়ই আত্মপক্ষ সমর্থন ও শাস্তির বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ পাচ্ছেন। তাদের লিখিত বক্তব্য মঙ্গলবারের মধ্যে ফেডারেশকে জানাতে হবে।