বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিদায়বেলায় এশিয়া কাপের স্মৃতিচারণ কাপালির

  •    
  • ৩০ আগস্ট, ২০২২ ১১:৩০

কাপালি তার সেই ইতিহাস গড়ার তারিখেই সিদ্ধান্ত নিলেন অবসরের। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন এই অলরাউন্ডার। তবে ঘরোয়া লিগের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন ৩৮ বয়সী এই ক্রিকেটার।

২৯ আগস্ট ২০০৩। বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য একটি স্মরণীয় দিন। হবেই না কেন। এদিনই যে বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা পায়। আর সেই ইতিহাসটি গড়েছিলেন জাতীয় দলের সাবেক অলরাউন্ডার অলক কাপালি।

পেশোয়ারে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টের তৃতীয় দিনে অনন্য এই কীর্তি গড়েছিলেন কাপালি। সাব্বির আহমেদ, দিনেশ কানারিয়া ও উমর গুলকে পরপর আউট করে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে হ্যাটট্রিকের খাতায় নাম তোলেন ডানহাতি এই লেগি।

সেই ঘটনার পর কেটে গেছে ১৯টি বছর। এই দীর্ঘ প্রায় দুই দশকে কাপালির নামের পাশে যোগ হয়েছে আরও ক্রিকেটারের নাম। কিন্তু কাপালি তো স্পেশালই। কেননা তার হাত ধরেই এসেছিল প্রথম হ্যাটট্রিক।

আর কাপালি ওই ইতিহাস গড়ার তারিখেই সিদ্ধান্ত নিলেন অবসরের। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন এই অলরাউন্ডার। তবে ঘরোয়া লিগের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যাবেন ৩৮ বয়সী এই ক্রিকেটার।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে কাপালি লেখেন, ‘আমি ২০০০-০১ মৌসুম থেকে দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলে আসছি। বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অংশগ্রহণ করেছি।

'এই দীর্ঘ পথচলায় অনেকেই আমাকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন, উনাদেরসহ সব শুভাকাঙ্ক্ষী ও শুভানুধ্যায়ীর কাছে আমি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আমি বাংলাদেশ ও বৃহত্তর সিলেটের ক্রীড়াঙ্গনের অংশ হতে পারায় গর্বিত। আমি মনে করি, এখন তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য আরও বেশি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার সুযোগ করে দেওয়া উচিত।’

‘তরুণ ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে আসার জন্য এবং আমার পরিবারকে বেশি সময় দেওয়ার লক্ষ্যে আমি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি ২০২২-২৩ মৌসুম থেকে শুধু লিমিটেড ওভার ক্রিকেট (ওডিআই, টি-টোয়েন্টি ইত্যাদিতে) অংশগ্রহণ করব।’

কাপালির আরও একটি কীর্তি রয়েছে। সেটি এশিয়া কাপে।

২০০৮ সালের ২৮ জুন। এশিয়া কাপের সুপার ফোরে বাংলাদেশ মুখোমুখি ভারত। করাচিতে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ১৬৯ রানেই ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাট হাতে নেমে ৯৬ বলে ১১৫ রানের মারকুটে ইনিংস খেলে দলকে ২৮৩ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ এনে দেন জাতীয় দলের সাবেক অলরাউন্ডার অলক কাপালি।

দল জয় না পেলেও এশিয়া কাপের সেবারকার আসরে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন এই ব্যাটার। এরপর ২০১১ সালের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেললেও ঘরোয়া ক্রিকেট চালিয়ে যান তিনি।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে যখন কাপালি অবসর জানালেন তখন আরব আমিরাতে চলছে এশিয়া কাপের পঞ্চদশ আসর। আর বাংলাদেশের সামনে আফগান পরীক্ষা।

অবসরের সময় তাই কাপালি নিউজবাংলার কাছে স্মৃতিচারণ করলেন ঐতিহাসিক সেই সেঞ্চুরির কথা। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এটিই তার একমাত্র শতক।

স্মৃতিচারণা করে অলক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সেটা ছিল আমার প্রথম সেঞ্চুরি। ভারতের বিপক্ষে আমাদের প্রথম সেঞ্চুরি ছিল, সেই সঙ্গে সেটা ছিল বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরি। সেটা রেকর্ড ছিল, এরপর তো সাকিব সেই রেকর্ড ভাঙল। ওই সেঞ্চুরিটা আমার জীবনের বড় একটা পাওনা ছিল, যেটা সারাজীবন আমার মনে থাকবে।’

তিনি যোগ করেন, ‘ভারতের বিপক্ষে সে সময় সেঞ্চুরি করাটা অনেক বড় বিষয় ছিল। সেই দলে মহেন্দ্র সিং ধোনি, রোহিত শর্মার মতো আরও অনেক তারকা ছিলেন। ম্যাচে আমরা ২৮৪ রান করেছিলাম। ১৩২-৩৪ (১৬৯ রান) করতেই ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। এটা আমার জন্য অনেক বড় একটা প্রাপ্তি।’

এ বিভাগের আরো খবর