এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের সামনে ১৪৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে পাকিস্তান। ভারতীয় পেইসারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সবগুলো উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১৪৭ রান।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে ভারতীয় পেইস আক্রমণ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল দুই পাক ওপেনার বাবর আজম ও ফখর জামানের। বল সামাল দিতে বিপাকে পড়লেও রান বের করে আনছিলেন এই দুই ওপেনার।
জুটি বড় হয়নি ভুবনেশ্বর কুমারের কল্যাণে।
ভালো শুরুর পর ইনিংসের তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে ভুবনেশ্বরের বলে মিস টাইমিংয়ে কুপোকাত হন পাকিস্তান দলপতি বাবর আজম। আর্শদিপ সিংয়ের হাতে ধরা দিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১০ রান।
বাবরের বিদায়ের পর রানের চাকার গতি কিছুটা কমে যায় পাকিস্তানের। সেই সুযোগে বলের তেজ বাড়ে ভারতের পেইসারদের। আর্শদিপ, ভুবনেশ্বর ও হার্দিক পান্ডিয়াকে সামলাতে পারেননি ফখর জামান ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। দেখেশুনে এই দুজন এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন দলকে।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে এসে মারকুটে ভূমিকায় অবতীর্ণ হন রিজওয়ান। সে ওভারে হতাশায় ডুবিয়ে আবেশ খানের বলে উইকেটের পেছনে দিনেশ কার্তিকের হাতে ধরা দিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ফখরকে। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১০ রান।
এরপর ইফতিখার আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে হাল ধরেন রিজওয়ান। দলকে ফেরান ট্র্যাকে। কিন্তু ম্যাচের ১৩তম ওভারের প্রথম বলে হার্দিক পান্ডিয়ার বাউন্স ঠিকমতো ব্যাটে-বলে করতে না পেরে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন ইফতিখার। ২৮ রানে এই ব্যাটারের বিদায়ের মধ্য দিয়ে ভাঙে সেই দুর্দান্ত জুটি।
সঙ্গীর বিদায়ের পর বেশিক্ষণ উইকেটে থাকা হয়নি রিজওয়ানের। অর্ধশতক থেকে ৭ রান দূরে থাকতে তাকে থামান হার্দিক পান্ডিয়া। সেই ওভারেই এক বল বাদে ২ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন খুশদিল শাহও।
শেষদিকে আর্শদিপ সিং ও ভুবনেশ্বর কুমারের তোপ চললেও দাহানির ঝড়ে দলীয় সংগ্রহ ১৪৭ করতে সক্ষম হয় পাকিস্তান।