জাতীয় ওয়ানডে ও টেস্ট দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে নিয়ে চলছে নাটক। বৃহস্পতিবার স্থানীয় এক দৈনিক প্রোটিয়া কোচের বরাত দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে যে তিনি নিজের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন বিসিবির কাছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে ওঠে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
তবে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি পরিষ্কার করেছে পুরো বিষয়টি। রাসেল ডমিঙ্গো পদত্যাগ করেননি এমনটা জানিয়েছেন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডমিঙ্গো ছুটিতে রয়েছে। ওর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। ও যেভাবে বলতে চেয়েছে সেভাবে সংবাদমাধ্যমে আসেনি। পদত্যাগের বিষয়টি সঠিক নয়।
‘রাসেল কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছে। তবে আমাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়গুলো ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। আজকে সকালেও রাসেলের সঙ্গে কথা হয়েছে। কয়েক দিন আগে সে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছে। বোর্ড সভাপতির সঙ্গেও আলাপ-আলোচনা করেছে।’
প্রধান নির্বাহী আরও বলেন, ডমিঙ্গো আগামী মাসের শেষে অথবা অক্টোবরের শুরুতে নিয়মমাফিক দলের সঙ্গে যোগ দেবেন ও তার পরিকল্পনা দ্রুত বোর্ডের কাছে জমা দেবেন।
তিনি যোগ করেন, ‘আশা করছি, সে দ্রুতই তার প্ল্যান বোর্ডকে জমা দিবে। আলোচনায় আছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আমাদের এ-দলের যে সিরিজ আছে, সেখানে সে যাবে খেলোয়াড়দের সঙ্গে। এভাবেই পরিকল্পনা অনুযায়ী রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে।’
২০১৯ সালের ২২ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় দলের দায়িত্ব পান ডমিঙ্গো। জাতীয় দলের দায়িত্বভার বুঝে নিয়ে খুব একটা আশা জাগানিয়া পারফরম্যান্স দেখানো সম্ভব হয়নি এই কোচের পক্ষে।
তারপরও ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝামাঝি সময়ে ডমিঙ্গোর সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করে বোর্ড। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাড়ানো হয় চুক্তির মেয়াদ।
বিশ্বকাপে দলের বাজে পারফরম্যান্স সমালোচনার কাঠগড়ায় দাঁড় করায় তাকে। দ্বিপক্ষীয় সিরিজগুলোতেও বাজে ফল অব্যাহত থাকে জাতীয় দলের। সবশেষ জিম্বাবুয়ে আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পর টনক নড়ে বোর্ডের। ফলে এশিয়া কাপের আগ মুহূর্তে টি-টোয়েন্টি থেকে ডমিঙ্গোকে অব্যাহতি দিয়ে শুধু ওয়ানডে ও টেস্টে মনোযোগ করতে বলা হয় ডমিঙ্গোকে।
বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত হাসিমুখে মেনে নিলেও সংবাদমাধ্যমকে বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার দেন ডমিঙ্গো। সেখানে তিনি বাজে পারফরম্যান্সের কারণ হিসেবে বোর্ডের কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপের দিকে আঙুল তোলেন। বোর্ডের পক্ষ থেকে এমন মন্তব্যের কারণ জানতে চাওয়া হয় প্রোটিয়া এই কোচের কাছে।