প্রীতি ম্যাচ মূলত অনুষ্ঠিত হয় মৌসুম শুরুর আগে, তবে বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির প্রীতি ম্যাচটি মাঠে গড়ায় এএলএস আক্রান্ত বার্সার সাবেক গোলকিপার ও কোচ হুয়ান কার্লোস উনসুয়ের সম্মানে।
এএলএস রোগ নিয়ে সচেতনতামূলক এই ম্যাচ থেকে আয়ের অর্থের পুরোটা যাবে কার্লোসের চিকিৎসা গবেষণার কাজে। এই রোগের কারণে মানুষের মস্তিষ্কের সেল এবং নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফলে চলাচলের শক্তি হারিয়ে ফেলে। ১৯৮৮-১৯৯০ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনায় খেলেছেন কার্লোস।
ঘরের মাঠ কাম্প ন্যুয়ে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে এই প্রীতি ম্যাচে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে বার্সেলোনা। নিশ্চিত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার আগ মুহূর্তে, অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যানচেস্টার সিটি। এতে করে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে সিটিজেনরা।
হুয়ান কার্লোসসহ আরও কয়েকজন এএলএস আক্রান্ত রোগী ম্যাচের শুরুতে মাঠে আসেন। পরে কার্লোস সবার উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। তিনি বার্সেলোনার কোচ পেপ গার্দিওলার সঙ্গে বসে ম্যাচটি উপভোগ করেছেন।
বার্সেলোনার মাঠে খেলা হলেও দুই দল লড়েছে সমানে সমান। ম্যাচের প্রথম দিকে অবশ্য একের পর এক আক্রমণে সিটির রক্ষণকে ব্যস্ত রাখেন বার্সেলোনার ফুটবলাররা। কিন্তু প্রথম গোলের সুযোগটি লুফে নেয় ম্যানসিটি।
২১ মিনিটের মাথায় হুলিয়ান আলভারেসের গোলে লিড নেয় সিটিজেনরা। সেই লিড বেশি সময় ধরে রাখতে পারেনি সিটি। মিনিট দশেক পরই পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং এর গোলে সমতায় ফেরে গার্দিওলার দল। ১-১ গোলের সমতায় বিরতিতে যায় দল দুটি।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর কিছু সময় পর এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ৬৬তম মিনিটে ফ্রাংকি ডি ইয়ং গোল করে এগিয়ে দেন বার্সেলোনাকে, তবে ৭০ মিনিটে কোল পামারের গোলে আবার সমতায় ফেরে ম্যানসিটি।
২-২ গোলে সমতায় ফিরে কিছুটা আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করে ম্যানসিটি। এ যাত্রায় উল্টো মেমফিস ডিপায়ের গোলে পিছিয়ে পরে সফরকারী দল। ৭৯তম মিনিতে ডিপায়ের স্ট্রাইকে ৩-২ গোলের লিড নেয় বার্সেলোনা।
অল্প কিছু সময় বাকি থাকতে এমন গোলে নিশ্চিত জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল চাভি এর্নান্দেসের দল।
অতিরিক্ত সময়ের আর্লিং হালান্ডকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় সিটি। পেনাল্টি থেকে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি রিয়াদ মাহরেজ। এতে করে ৩-৩ গোলের সমতায় মাঠ ছাড়ে দুই দল।