অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে আবারও ফাইনাল খেলছে বাংলাদেশ। তিন আসরের মধ্যে শেষ দুটিতে ফাইনাল খেলেছিলেন বাংলাদেশের যুবারা, তবে শিরোপার দেখা পাননি একবারও। শেষবার ভারতের বিপক্ষে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় লাল-সবুজ জার্সিধারীদের।
অন্যদিকে এখন পর্যন্ত আয়োজিত প্রত্যেক আসরের শিরোপা জিতেছেন ভারতের যুবারা। তাদের বিপক্ষেই এবারের আসরে ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ।
এমন বাস্তবতায় চাপ বোধ করাটা স্বাভাবিক হলেও ম্যাচের আগের দিন বৃহস্পতিবার যুব দলের অধিনায়ক তানভির হোসেন জানান, তিনি একদমই চাপ অনুভব করছেন না।
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের আগে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন, আমরা যেন শিরোপাটা দেশবাসীকে উপহার দিতে পারি। পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা ফাইনালে পৌঁছেছি। এর আগে গ্রুপ পর্বে আমরা ভারতকে ২-১ গোলে হারিয়েছি, যে কারণে আমাদের কাছে কোনো চাপ মনে হচ্ছে না।’
চলতি আসরে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচে ২-০ গোলে জয় পেয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী পল স্মলির শিষ্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ দলের নতুন কোচ পল স্মলি বলেন, ‘আমি জানি বাংলাদেশিরা এই ফাইনাল ম্যাচটি নিয়ে অনেক উচ্ছ্বসিত।বাফুফেও উচ্ছ্বসিত।
‘ফাইনালে ওঠার আগে আমরা ভারতকে হারিয়েছি। সেই ম্যাচের করা ভুলগুলো নিয়ে আমরা কাজ করেছি। আশা করছি ফাইনালে ভালো কিছুই করব।’
পল আরও বলেন, ‘ভারত অবশ্যই শক্তিশালী দল। স্বাগতিক দল ছাড়াও তাদের কিছু কোয়ালিটি রয়েছে। ফাইনালে তাদের হারানোটা কঠিন। জিততে হলে তাদের সঙ্গে কঠিন লড়াই করতে হবে।’
ফাইনালের আগে দলে কোনো ইনজুরি না থাকলেও নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের মিডফিল্ডার শহীদুল ইসলাম লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়েন। এতে করে ফাইনালে তাকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ।
স্বাগতিক ভারত দলের অধিনায়ক বিকাশ উমনাম বলেন, ‘ফাইনাল খেলতে আমরা প্রস্তুত। বাংলাদেশ অনেক সমীহ জাগানিয়া দল। ফাইনালে তাদের বিপক্ষে জয়ে পেতে আমরা আত্মবিশ্বাসী, তবে অতি আত্মবিশ্বাসী নই।’
ফাইনালে ভারতের ভুবনেশ্বরের কালিঙ্গা স্টেডিয়ামে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মাঠের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দল দুটি।