বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরের পর্দা উঠতে যাচ্ছে ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি। এই সময়চক্রে অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ও বিগ ব্যাশ প্রিমিয়ার লিগ (বিবিএল)। বাকি দুটি ফ্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের চেয়ে কাগজে-কলমের হিসাবে ঢের পিছিয়ে বিপিএল। যদিও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্তাদের দাবি বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বিপিএল।
তবে বিপিএলের শেষ কয়েকটি আসরের দিকে তাকালে দেখা যায় তারকা ক্রিকেটারদের এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারছে না বিসিবি। অখ্যাত সব ক্রিকেটারকে খেলানো হয় টুর্নামেন্টে।
বেশি দূর যাওয়া লাগবে না এই কথার সত্যতা প্রমাণে। বিপিএলের গেল আসরের ড্রাফটে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের জয়জয়কার থাকলেও দেখা যায়নি অস্ট্রেলিয়া, সাউথ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ভারত, ইংল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটারদের। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার থাকলেও বিপিএলের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া ক্যাটাগরিতে যারা জায়গা করে নিয়েছেন, তাদের অনেকেরই ঠাঁই মেলে না অন্য টুর্নামেন্টে।
গত বছরের ড্রাফটে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া ‘এ’ ক্যাটাগরিতে জায়গা পেয়েছিলেন বেন ফোকস (ইংল্যান্ড), ড্যান লরেন্স (ইংল্যান্ড), দুশমান্ত চামিরা (শ্রীলঙ্কা), ইসুরু উদানা (শ্রীলঙ্কা), ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা), কয়েস আহমেদ, রহমানউল্লাহ গুরবাজ (আফগানিস্তান), রাভি বোপারা (ইংল্যান্ড), সান্দিপ লামিচানে (নেপাল), উইল জ্যাকস (ইংল্যান্ড) ও জহির খান (আফগানিস্তান)।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর তারকা ক্রিকেটারদের কোনো আগ্রহই দেখা যায় না বিপিএলের ড্রাফটে অংশ নিতে। এর অন্যতম কারণ প্রাইজমানি ও খেলার মান।
ভিন্ন চিত্র বিশ্বের বাকি লিগগুলোর বেলায়। সেসব লিগে খেলতে যেন উন্মুখ হয়ে থাকেন তারকারা। বিপিএলের এলেই দেখা মেলে তাদের উদাসীনতার।
বিপিএলের আসন্ন আসরের সময়চক্রে পিএসএল ও বিবিএল চললেও সেই আসরে তারকা ক্রিকেটারদের উপস্থিতি কম হবে না বলে আশাবাদী বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
বোর্ডের ষষ্ঠ সভা শেষে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিসিবি বস বলেন, ‘আমি চিন্তিত না। কারণ আমরা ভালো ক্রিকেটার পাব। এখন পর্যন্ত যতবার বিপিএল হয়েছে, তখন অন্য টুর্নামেন্ট থাকলেও সেরা ক্রিকেটাররা আমাদের টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে।’