সবশেষ ২০১৯ সালের অক্টোবরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ খেলার সুযোগ হয়েছিল বাংলাদেশ-এ দলের। এরপর গত তিন বছরে জাতীয় দল অসংখ্য সিরিজ খেললেও সিরিজ খেলার সুযোগ হয়নি এ-দলের। এই সময়টাতে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়া ও পাইপলাইনে থাকা ক্রিকেটারদের।
লম্বা সময় পর অবশেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে ভাঙছে এ-দলের সিরিজ খেলার ডেডলক। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে দুইটি চারদিনের ম্যাচ ও তিনটি ওয়ানডে খেলবে মোহাম্মদ মিঠুনের নেতৃত্বাধীন দল।
বিশ্বের অন্যতম ধনী বোর্ডের অধীনে থাকা দলের সুযোগ হয়না সিরিজ খেলার। বিষয়টি একেবারে বেমানান। আর সে কারণে দলের দেশ ছাড়ার আগে সংবাদসম্মেলনে বোর্ডের কাছে জানতে চাওয়া হল এ কারণ।
বিসিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বিসিবি নয় বরং অন্য হোস্ট বোর্ডের সক্ষমতার অভাবে নিয়মিত এ-দলের সিরিজ আয়োজন করতে ব্যর্থ হচ্ছে বিসিবি। জাতীয় দলের বিপক্ষে সিরিজ আয়োজন করতে অন্য দল সক্ষম হলেও বাংলাদেশের এ-দলের বিপক্ষে বিশ্বের বাকি বোর্ডগুলো সিরিজ আয়োজন করতে অক্ষম বলে মন্তব্য করেন জাতীয় দলের নির্বাচক আবদুর রাজ্জাক।
পরিস্থিতিটা এমন যে, ধরা যাক বিসিবি বাংলাদেশ-এ দলের একটি সিরিজ আয়োজন করতে যাচ্ছে পাকিস্তান বা ভারত বা অন্য কোনো দেশের এ-দলের সঙ্গে। এখন যাদের সঙ্গে খেলতে চাচ্ছে, তারা বাংলাদেশের জাতীয় দলের বিপক্ষে সিরিজ আয়োজন করতে সক্ষম হলেও এ-দলের বিপক্ষে সিরিজ আয়োজন করতে সক্ষম নয়। এ কারণেই দীর্ঘ বিরতি দিয়ে হচ্ছে সিরিজ।
রাজ্জাক বলেন, ‘সিরিজ কম হওয়ার কারণ বিপক্ষ বোর্ড। এটা তো এমন না যে আমরা চাইলেই যেতে পারব। অবশ্যই চাই যে সফর বেশি হোক। বিপক্ষ বোর্ডের সক্ষমতাও দেখতে হবে। অবশ্যই এ-দলের খেলা যত বেশি হবে জাতীয় দলের জন্য তত সহজ হবে। একজন নতুন ক্রিকেটারকে তো এই দলে সুযোগ দেয়া যায় সরাসরি জাতীয় দলে না খেলিয়ে।’
উইন্ডিজ-দলের বিপক্ষে সিরিজকে সামনে রেখে শুক্রবার দেশ ছাড়ছে বাংলাদেশ-এ দলের ক্রিকেটাররা।
৪ আগস্ট প্রথম টেস্ট দিয়ে শুরু হবে সিরিজের আনুষ্ঠানিকতা। ১০ আগস্ট মাঠে গড়াবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি।
এরপর ১৬, ১৮ ও ২০ আগস্ট মাঠে গড়াবে সিরিজের ৩টি ওয়ানডে ম্যাচ। সবগুলো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ড্যারেন স্যামি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সিরিজ শেষে ২২ আগস্ট দেশে ফিরবে বাংলাদেশ।
চার দিনের ম্যাচের স্কোয়াড: মোহাম্মদ মিঠুন (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, ফজলে রাব্বি মাহমুদ, শাহাদাত হোসেন দিপু, জাকের আলী অনিক, নাঈম হাসান, তানভীর ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, রেজাউর রহমান রাজা, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, এনামুল হক।
ওয়ানডে স্কোয়াড: মোহাম্মদ মিঠুন (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, সাইফ হাসান, নাইম শেখ, মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু, জাকের আলী অনিক, সাব্বির রহমান, নাঈম হাসান, রাকিবুল হাসান, রেজাউর রহমান রাজা, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।