স্কটল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সব পরিচালক একযোগে পদত্যাগ করেছেন।
বর্ণবাদের অভিযোগ নিয়ে পর্যালোচনা রিপোর্ট প্রকাশের ঠিক এক দিন আগে তারা পদত্যাগ করেন, যা অভিযোগের সত্যতাকে সমর্থন করছে বলে মনে করেন ক্রিকেটসংশ্লিষ্টরা।
সোমবার এ পর্যালোচনা প্রতিবেদন প্রকাশের কথা। এর আগেই ক্রিকেট বোর্ডের ছয় কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। বোর্ডের পরিচালকরা রোববার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে জানা যায়।
বর্ণবাদের কারণে বৈষম্যের শিকার ব্যক্তিদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতিও দিয়েছে স্কটল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।
ঘটনার শুরু স্কটল্যান্ডের সর্বকালের সেরা উইকেট শিকারি মজিদ হকের অভিযোগ নিয়ে। তিনি ক্রিকেট স্কটল্যান্ডকে ‘প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বর্ণবাদী’ বলে অভিযোগ করেন। এরপর শুরু হয় তদন্ত ও পর্যালোচনা।
স্কটল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ক্রিকেট স্কটল্যান্ড সামনের দিনগুলোতে খেলাধুলার জন্য যথাযথ শাসন, নেতৃত্ব এবং সমর্থন দেবে। এ জন্য খুব দ্রুতই স্পোর্টস স্কটল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বে কাজ শুরু হবে।
‘বর্ণবাদের প্রতিবেদন প্রকাশের পর এসব বিষয়ে আবারও পর্যালোচনা হবে। সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা আসবে।’
২০২১ সালের নভেম্বরে স্কটিশ অফস্পিনার মজিদ হক অভিযোগ তোলেন বর্ণবাদ নিয়ে। ক্যারিয়ারজুড়ে তিনি বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন।
মজিদের সতীর্থ কাসিম শেখও দাবি করেন, গায়ের রঙের কারণে তিনিও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।
মজিদ অভিযোগ তোলেন দলের কোচ, খেলোয়াড়সহ অনেকের বিরুদ্ধে। যা বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে স্কটিশ ক্রিকেটকে। সেখানকার ক্রিকেট বোর্ড তাৎক্ষণিক বিষয়টি নাকচ করতে পারেনি।
বর্ণবাদ নিয়ে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত বিভাগ সোমবার ফলাফল জানাবে।
ক্রিকেট বোর্ডের অনেকেই ধরে নিয়েছেন পর্যালোচনা প্রতিবেদন তাদের পক্ষে যাবে না। এ অবস্থায় আগাম সরে গেছেন বোর্ডের সব পরিচালক।
বোর্ডের সব কর্মকর্তা একযোগে পদত্যাগপত্র জমা দেয়ায় নানা গুঞ্জন ছড়াচ্ছে সে দেশের ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মহলে।