কে বলবে এই বোলারদেরই তুলোধোনা করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে? প্রিয় ফরম্যাটে আরও একবার নিজেদের সেরা রূপ দেখাল বাংলাদেশ।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও বাংলাদেশের বোলারদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা। নাসুম-মিরাজদের বোলিং তোপে ৩৫ ওভার ব্যাটিং করে মাত্র ১০৮ রানেই গুটিয়ে গেছে ক্যারিবীয়রা।
১০৯ করলেই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ বাংলাদেশের হয়ে যাবে।
গায়ানায় টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচের শুরু থেকেই বিপর্যয় সঙ্গী হয় ক্যারিবীয়দের। শুরুটা হয় দলীয় ২৭ রানে কাইল মায়ার্সের বিদায়ের মধ্য দিয়ে। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের হাত ধরে প্রথম সফলতার মুখ দেখে বাংলাদেশ।
৩৬ বলে ১৭ রান করে বোল্ড হয়ে মেইল মায়ার্সকে মাঠ ছাড়তে হয় সৈকতের প্রথম শিকার বনে।
উইন্ডিজ শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন নাসুম আহমেদ। শামারহ ব্রুকসে ৫ রানে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দিয়ে বাঁহাতি এই স্পিনার পতন ঘটান দ্বিতীয় উইকেটের।
এরপর ম্যাচের ১৮তম ওভারে ব্যাক টু ব্যাক আঘাত হানেন নাসুম আহমেদ। শাই হোপকে ১৮ ও নিকোলাস পুরানকে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরিয়ে পতন ঘটান ক্যারিবীয়দের চতুর্থ উইকেটের।
এরপর কিং ও পাওয়েল মিলে টেনে ধরেন উইকেটের লাগাম। দুজনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলীয় সংগ্রহ ৫০ পেরোয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
তবে বেশিক্ষণ এই জুটিকে স্থায়ী হতে দেননি শরিফুল ইসলাম। ১৩ রানে পাওয়েলকে মাঠ ছাড়া করে ভাঙেন সেই জুটি।
এরপর নিয়মিত উইকেট পতনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সামনে ১০৮ রানের পুঁজি দাঁড় করাতে সক্ষম হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনটি উইকেট নেন নাসুম আহমেদ। একটি করে উইকেট যায় শরিফুল ইসলাম ও মোসাদ্দেক হোসেনের ঝুলিতে।