টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে পরপর দুই সিরিজ হারের পর বাংলাদেশের সামনে শঙ্কা ছিল খালি হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ফেরার। কিন্তু ওয়ানডে সিরিজটা এখনও বাকি। অধরা জয়ের মিশনে রোববার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে নামে বাংলাদেশ।
সঙ্গে নিয়ে নামে ২০১৮ থেকে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে অপরাজিত থাকার অভিজ্ঞতা। তার জের ধরে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের পথে এক পা দিয়ে রাখল বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের মাত্র ১৪৯ রানে আটকে দিয়েছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
এবার বাকি কাজটা সারতে হবে ব্যাটারদের। তাহলে বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব হবে পুরো সিরিজের অধরা জয়ের দেখা পাওয়া।
বৃষ্টিতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে। দুই দলে সুযোগ পায় ৪১ ওভার করে খেলার।
গায়ানায় বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে টসে জিতে বল করতে নেমে শুরু থেকে উইন্ডিজ ব্যাটারদের ওপর চড়াও হন টাইগার বোলাররা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই শাই হোপকে রানের খাতা খোলার আগে সাজঘরে ফিরিয়ে শুভ সূচনা করেন মুস্তাফিজুর রহমান।
দ্রুত উইকেট পতনের ধাক্কা সামাল দিতে এরপর দেখেশুনে ব্যাটিং শুরু করেন কাইল মায়ার্স ও শামার ব্রুকস। তাদের উইকেট কামড়ে ধরে করা ব্যাটিংয়ে সাময়িক সময়ের জন্য পতন থামে উইন্ডিজের উইকেটের।
ম্যাচের দ্বাদশ ওভারে দলীয় ৩২ রানে ব্রেক থ্রু এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কাইল মায়ার্সকে ১০ রানেই পথ ধরতে বাধ্য করেন সাজঘরের।
ম্যাচের একুশতম ওভারে শরিফুল ইসলামের ব্যাক টু ব্যাক আঘাতে সাজঘরে ফেরেন ব্রেন্ডন কিং ও ব্রুকস। মাঠ ছাড়ার আগে কিংয়ের ব্যাট থেকে আসে ৮ রান ও ব্রুকসের ৩৩।
এরপর শুরু হয় উইন্ডিজ শিবিরে আসা যাওয়ার মিছিল। একে একে সেই মিছিলে শামিল হয়ে মাঠ ছাড়েন রভম্যান পাওয়েল (৯), নিকোলাস পুরান (১৮), আকিল হোসেন (৩), রোমারিও শেফার্ড (১৬) ও গুডাকেশ মোতি (৭)। এতে করে ১১০ রান তুলতে ক্যারিবীয়রা হারায় ৯ উইকেট।
শেষদিকে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অ্যান্ডারসন জোসেফ ও জেইডন সিলস। কিন্তু দলকে বেশিদূর টেনে নিয়ে যেতে পারেননি তারা। ৪১ ওভারে ৯ উইকেটের খরচায় ১৪৯ রান তুলতে থেমে যায় উইন্ডিজের ইনিংসের চাকা।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। ৩ উইকেট যায় মেহেদী মিরাজের ঝুলিতে। আর ১টি উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান।