টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শুরু থেকে ‘পাওয়ার হিটিংয়ে’ দুর্বল বাংলাদেশ দল। ক্রিকেটার থেকে শুরু করে কোচিং স্টাফ সকলেই বিষয়টি নিয়ে অবগত থাকলেও এখনও একজন জেনুইন পাওয়ার হিটারের বের করতে পারেননি নির্বাচকরা।যারা দলে রয়েছেন তাদের ভেতর থেকেও পাওয়ার হিটার হিসেবে কাউকে তৈরি করা সম্ভব হয়নি কোচদের পক্ষে। সম্ভব হয়নি কাউকে টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট হিসেবে তৈরি করা। ফলে নিয়মিত হার মেনে মাঠ ছাড়তে হচ্ছে লাল সবুজের প্রতিনিধিদের।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্ব থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ শর্টার ফরম্যাটের ম্যাচ খেলেছে ১৪ টি। এর ভেতর কেবল ১টি ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছে টাইগাররা। একটি ম্যাচ পরিত্যাক্ত হয়েছে আর হারতে হয়েছে ১১টি ম্যাচে।ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্যাটিং বান্ধব উইকেট পাওয়ার পরও বাংলাদেশ তা কাজে লাগাতে পারেনি কেবলমাত্র পাওয়ার হিটারের অভাবে। আর সেই আফসোস অকপটে বেরিয়েছে লিটন দাসের মুখ থেকে।
লিটনের মতে দুই দলের ব্যাটারদের সবচেয়ে বড় পার্থক্য পাওয়ার হিটিংয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা চাইলেই ছক্কা মারতে পারেন যেখানে সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র মাহমুদউল্লাহর দলে। বৃহস্পতিবার ভোরে ম্যাচ শেষে সংবাদসম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন জাতীয় দলের এই ওপেনার।
লিটন বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে আছি। অনেক জায়গা নিয়ে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে আমরা পাওয়ার ক্রিকেট খেলতে পারি না। অনেকেই বলে টি-টোয়েন্টি কৌশলের খেলা। কৌশলের সঙ্গে দক্ষতাও গুরুত্বপূর্ণ। পাওয়ার হিটিং খুবই প্রয়োজনীয়। আমি মনে করি এই জায়গায় অনেক পিছিয়ে রয়েছি।
‘আমি যদি মায়ার্সের কথা বলি, সে দৈহিকভাবে খুব শক্তিশালী। আমাদের দলের খেলোয়াড়রা তা পারেন না। তারা যখনই চায় ৬ মারতে পারে। আমাদের দলের অনেক সদস্যের সে সামর্থ্য নেই।’