ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হারের ধারা বাংলাদেশ ধরে রাখল টি-টোয়েন্টি সিরিজে এসেও। নিয়মিত পারফরম্যান্সের অংশ হিসেবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে হারতে হয়েছে ৫ উইকেটে। সফরকারীদের দেয়া ১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট ও ১০ বল হাতে রেখেই জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় ক্যারিবীয়রা।
বাংলাদেশ আট বোলার দিয়ে বল করিয়েও আটকাতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। আর সেই সুবাদে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ২-০ ব্যবধানে ক্লিন সুইপড হলো বাংলাদেশ।
গায়ানায় শেষ টি-টোয়েন্টির শুরতেই বাধ সাধে বৃষ্টি। বৃষ্টি বাধায় নির্ধারিত সময়ের ৪৫ মিনিট পর টস আর ৩০ মিনিট পর খেলা মাঠে গড়ায়।
ব্যাট করতে নেমে নিজেদের শুরুটা সন্তোষজনক হলেও সেটি বেশিক্ষণ ধরে রাখা সম্ভব হয়নি সফরকারীদের পক্ষে। উদ্বোধনী জুটিতে লিটস দাস ও এনামুল হক বিজয় মিলে এনে দেন ৩৫ রান। বিজয়কে ফেরানোর মধ্য দিয়ে জুটি ভেঙে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন ওডেন স্মিথ। মাঠ ছাড়ার আগে বিজয়ের ব্যাট থেকে আসে ১০ রান।
অল্পতেই ফিরতে হয় সাকিবকেও। শেফার্ডের শিকার বনে সাজঘরে ফেরার আগে তিনি করেন ৫ রান।
এরপর উইকেট আগলে ধরে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মিশনে নামেন লিটন ও আফিফ হোসেন। দুজনের অবিচ্ছেদ্য ৫৭ রানের জুটি লড়াইয়ে ফেরায় বাংলাদেশকে।
৪৯ রানে লিটন ও ২০ রানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ক্ষান্তি দিতে হলেও উইকেটে অবিচল থেকে আফিফ তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশতক। ৩৮ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ফিফটি তুলে নিয়েই রান আউটের শিকার হয়ে সাজঘরের পথ ধরতে হয় তাকে।
তবে ততক্ষণে দল পেরিয়েছে ১৫০ রানের কোটা। শেষপর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে উইন্ডিজের সামনে ১৬৩ রানের পুঁজি দাঁড় করায় বাংলাদেশ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৩ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। তবে সেটি খুব একটা কাজে লাগেনি বাংলাদেশের। নিকোলাস পুরানের হার না মানা ৩৯ বলে ৭৪ ও কাইল মায়ার্সের ৩৮ বলে ৫৫ রানের ইনিংসে ভর করে ১০ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে তরী ভেড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট নেন নাসুম আহমেদ। একটি করে উইকেট যায় সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেন ধ্রুবর ঝুলিতে।