চার দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ টাইগার্সের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থেকেই শেষ দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে হাই পারফরম্যান্স ইউনিট (এইচপি)।
এইচপির দেয়া ২২৭ রানের জবাবে দিন শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান তোলে টাইগার্স।
প্রথম ইনিংসে এখনও এইচপি এগিয়ে ৩৩ রানে। দিন শেষে ৩৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি। তৃতীয় দিনের শুরু থেকে তাকে সঙ্গ দেবেন নাঈম ইসলাম।
৬ উইকেটে ১৭৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে অল আউটের আগ পর্যন্ত মাত্র ১৯ দশমিক ১ ওভার খেলে এইচপি দল। ৭২ দশমিক ১ ওভারে ২২৭ এ গুটিয়ে যায় তারা।
দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান আসে অধিনায়ক আকবর আলির ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন মৃত্যুঞ্জয়।
বাংলাদেশ টাইগার্সের হয়ে নাইম হাসান নেন ৫ উইকেট। ৩ উইকেট ঝুলিতে পুরেন হাসান মাহমুদ। আর একটি করে উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহী ও তানভীর ইসলাম।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মৃত্যঞ্জয় চৌধুরী ফেরান নাঈম শেখকে। রিশাদ হাসানের তালুবন্দি হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৯ রান।
এরপর ইমরুল কায়েসকে ৪২ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন সৌম্য সরকার। বাংলাদেশ টাইগার্সকে ম্যাচে ফেরানোর কারিগর এই জুটি ভাঙ্গে ২৪ রান করা ইমরুল কায়েসের বিদায়ের মধ্য দিয়ে। তাকে সাজঘরের পথ দেখি ব্রেক থ্রু আনেন মুশফিক হাসান।
অল্পতেই ফিরতে হয় জাকির হাসানকে। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর শিকার বনে মাঠ ছাড়ার আগে তিনি করেন ১৪ রান।
এরপর আরও একবার ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের মিশনে নামেন সৌম্য। দুজনে মিলে চতুর্থ উইকেট জুটি ৫০ পার করেন। পথিমধ্যে অর্ধশতক তুলে নেন সৌম্য।
হাফ সেঞ্চুরি বাগিয়ে নিয়েই তিনি ব্যাট চালানো শুরু করেন শতকের দিকে। কিন্তু শেষতক শতক বাগিয়ে নেয়া হয়নি তার। মুকিদুলের দ্বিতীয় শিকার বনে ৮১ রানে সাজঘরের পথ ধরতে হয় তাকে।
এরপর রিপন মন্ডলের জোড়া শিকারে জাকের আলি ও নাঈম হাসান ফিরলে ফের ব্যাকফুটে পরে যায় বাংলাদেশ টাইগার্স। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রানের পুঁজি নিয়ে দিন শেষ করে তারা।