গত বছর যখন চাভি এরনান্দেসকে দায়িত্ব দেয় বার্সেলোনা, তখন তাদের পরিকল্পনা ছিল নতুন এক প্রজেক্ট যা ফিরিয়ে আনবে ক্লাবের শ্রেষ্ঠত্ব ও পরের দশকে লড়াই করবে ইউরোপের সেরা ট্রফিগুলোর জন্য।
চাভি দলের হাল ধরার পর ১০ম স্থান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে তৃতীয় হয়ে লিগ শেষ করেছে বার্সেলোনা। সে ফলের ওপর ভরসা করে কাতালানদের স্বপ্ন ছিল নতুন মৌসুমে দারুণ দল গড়ার।
পেদ্রি, গাভি, ফাতিদের মতো তরুণদের সঙ্গে চাভি চাচ্ছিলেন বেশ কিছু পরীক্ষিত সৈন্য, যারা তার দলকে দেবে শক্ত ভিত্তি ও ইউরোপের যেকোনো দলের সঙ্গে লড়ার ক্ষমতা।
মৌসুম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আনহেল দি মারিয়া, রবার্ট লেওয়ানডোভস্কি, জুলের কুন্দের মতো অভিজ্ঞ তারকাদের দলে ভেড়াতে চেয়েছিল বার্সেলোনা। কিন্তু দলবদলের মাস শুরু হয়ে শেষ হয়ে যাওয়ার অবস্থায় চলে আসলেও এখনও উল্লেখযোগ্য কোনো খেলোয়াড়কে সই করাতে পারেনি সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।
উল্টো বার্সেলোনা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন নির্ভরযোগ্য ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং ও উসমান ডেম্বেলে। চাভির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় এই দুইজন ছিলেন অপরিহার্য। তবে আর্থিক পরিস্থিতির জন্য বাধ্য হয়ে এ দুইজনকে ছেড়ে দিতে হচ্ছে কাতালানদের।
ডি ইয়ংকে বেচতে এরই মধ্যে সাড়ে ৬ কোটি ইউরোতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে কথাবার্তা পাকা করে ফেলেছে বার্সা। আগামী ১-২ দিনের মধ্যে আসবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।
ডেম্বেলেকে কেনার দৌড়ে এগিয়ে চেলসি। ৫ কোটি ইউরো আসতে পারে এ ফরাসি স্ট্রাইকারের বিনিময়ে।
প্রায় ১৩০ কোটি ইউরো দেনায় জর্জরিত বার্সেলোনা এরই মধ্যে স্টেডিয়াম ও জার্সি স্বত্ব বিক্রি করে দিয়েছে মিউজিক স্ট্রিমিং কোম্পানি স্পটিফাইকে। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঐতিহ্যবাহী কাম্প ন্যুয়ের নাম বদলে হচ্ছে স্পটিফাই ন্যু ক্যাম্প।
এ ছাড়া ক্লেম লংলে, সার্জিনিও ডেস্ট ও সামুয়েল উমতিতির মতো খেলোয়াড়দের ছেড়ে দিয়ে তহবিল বড় করতে চাচ্ছে বার্সা। এতে করে লা লিগার স্যালারি ক্যাপের মধ্যে থাকবে তাদের স্কোয়াডের পারিশ্রমিক।
সব মিলিয়ে বার্সেলোনার জন্য সময়টা কঠিন। একমাত্র লা মাসিয়া অ্যাকাডেমিভিত্তিক উঠতি তারকারাই এখন চাভির দলকে ভরসা দিতে পারেন।