নিউজিল্যান্ডকে আবারও ভরসা করতে হচ্ছে ড্যারিল মিচেল ও টম ব্লান্ডলের ওপর। চলতি সিরিজে সব ম্যাচেই মিচেল-ব্লান্ডেল জুটিতে লড়াইয়ের পুঁজি গড়তে হয়েছে কিউইদের। মান রক্ষার ম্যাচে সেই আশাই করছে দলটি।
লিডসে ৩ ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্টে তৃতীয় দিনে ইংল্যান্ডকে বড় সংগ্রহের দিকে যেতে দেননি কিউই বোলাররা। বেয়ারস্টোর ১৬২ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৩১ রানের লিড পায় ইংল্যান্ড।
জবাবে শনিবার ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড। এর আগে ইংল্যান্ডকে ৩৬০ রানে গুটিয়ে দেয় দলটি। ফলে তৃতীয় দিন শেষে ১৩৭ রানে এগিয়ে সফরকারীরা।
লিডসের হেডিংলিতে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৮ রানেই পটসের শিকার হন উইল ইয়ং। তার বিদায়ের পর অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে নিয়ে দলের হাল ধরেন টম লাথাম।
দ্বিতীয় উইকেটে এ দুই ব্যাটার গড়েন ৯৭ রানের জুটি। এ জুটি ভাঙেন জেমি ওভারটন। তার বলে জনি বেয়ারস্টোর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন লাথাম। ১০০ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন টম লাথাম। এ যাত্রায় ১২টি ৪ হাঁকিয়ে এ রান করেন তিনি।
এরপর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ডেভন কনওয়েও। ২৩ বলে ১১ রান করে রুটের বলে আউট হন তিনি।
হাফ সেঞ্চুরির দিকে ছুটতে থাকা অধিনায়ক উইলিয়ামসনকে ফেরান ম্যাথিও পটস। ২ রানের জন্য দেখা পাননি টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩৪তম হাফ সেঞ্চুরি।
এরপর জ্যাক লিচের বোলিং তোপে ২৬ বলে ৭ করে আউট হন হেনরি নিকোলস। পরে দলের হাল ধরতে আবারও উইকেটে আসেন সেই মিচেল ও ব্লান্ডেল। মিচেল ১৭ বলে ৪ ও ব্লান্ডেল ১৩ বলে ৫ রান করে অপরাজিত আছেন।
চতুর্থ দিনে কিউইদের তাকিয়ে থাকতে হবে ভরসার মিচেল-ব্লান্ডেল জুটির দিকে। আরও একটি ভালো জুটি গড়তে পারলে টিকে থাকবে জয়ের স্বপ্ন।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগের দিনের ৬ উইকেটে ২৬৪ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। দারুণ ব্যাট করে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাওয়া ওভারটন তিন রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন। তিনি ট্রেন্ট বোল্টের শিকারে পরিণত হন ১৩৬ বলে ৯৭ রান করে।
পরে বেয়ারস্টোকে সঙ্গ দেন স্টুয়ার্ট ব্রড। ৩৬ বলে ছয়টি চার ও দুটি ছক্কায় ৪২ রান করে টিম সাউদির বলে বোল্ড হন তিনি। পরের ওভারে বেয়ারস্টোকে ফেরান ব্রেসওয়েল। এরপর লিচ ২টি বাউন্ডারি মেরে সাউদির তৃতীয় শিকারে পরিণত হন।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ১০৪ রান খরচায় চারটি উইকেট নেন বোল্ট। সাউদি তিনটি ও নিল ওয়েগনার দুটি করে উইকেট তুলে নেন।