২৫ জুন ২০২২। অবসান ঘটল ১০ বছরের অপেক্ষার। উদ্বোধন হলো পদ্মা সেতু। একই সঙ্গে অবসান ঘটেছে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের অধীর অপেক্ষার।
পদ্মা সেতুর দুয়ার খোলা নিয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসছে পুরো দেশ। উৎসবে মেতেছে পুরো জাতি। মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সেতুর উদ্বোধন করে উৎসবের মশালে আগুন জ্বালিয়েছেন।
আর এই উদ্বোধন ঘিরে বর্ণিল সাজে সেজেছিল মিরপুরের হোম অফ ক্রিকেটও। লাল-সবুজ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করার পাশাপাশি শেরেবাংলার মাঠে সবুজ গালিচায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পদ্মা সেতুর ছবিসংবলিত কেক কেটে উদযাপন করা হয়।
এ ছাড়া আয়োজন করা হয় কোরআনখানি, মিলাদ মাহফিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাতেরও। এরপর দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে দেয়া বক্তব্যে পদ্মা সেতু রূপকথাকে হার মানিয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক ঋণ দেয়া বন্ধ করে দিল। সবাই এটা নিয়ে মিথ্যা অপবাদ দেয়া শুরু করল। থেমেও তো যেতে পারত। তাতে হতোটা কী। এমন কত প্রকল্পই তো হয় না। তবে এটাও ঠিক, এটা আমাদের জাতির জন্য লজ্জার একটা বিষয় হতো। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই পদ্মা সেতু নির্মাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড় করিয়েছেন।’
‘এই স্বপ্ন বা এই গল্প রূপকথাকেও হার মানায়। এই গল্পের প্রতিটা পাতায় যে নাম লেখা আছে, সেটা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুকন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্নটা দেখা ও বাস্তবায়ন করা একমাত্র বঙ্গবন্ধুর পক্ষেই সম্ভব ছিল। পদ্মা সেতুও একমাত্র বঙ্গবন্ধুকন্যার পক্ষেই সম্ভব। এটা দ্বিতীয় কেউ চিন্তাই করতে পারে না। এটা আমাদের গৌরব, এটা আমাদের মর্যাদা, এটা আমাদের অহংকার।’