প্রথম সেশনে দুই উইকেট হারালেও, দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ হারিয়েছে চার উইকেট। চা বিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সফরকারীদের সংগ্রহ ৬ উইকেটের খরচায় ১৫৯ রান।
৪৯ বলে ৩৪ করে অপরাজিত রয়েছেন লিটন দাস। সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ করেছেন ২৫ বলে ৫ রান।
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে সেইন্ট লুসিয়ায় শুরুটা বেশ দেখেশুনেই করে বাংলাদেশ। কিমার রোচ ও জেইডেন সিলসের ওপেনিং স্পেল বিপদ ছাড়াই কাটিয়ে দেন তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয়। এ সময় বেশ কয়েকটি আবেদনে তারা নিরাপদ থেকে যান ডিআরএসের কল্যাণে।
তবে, অভিষিক্ত পেইসার অ্যান্ডারসন ফিলিপ এসে জুটি ভাঙেন টাইগারদের। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তিনি ফেরান জয়কে। ফিলিপের বলের লেংথ বুঝতে না পেরে প্লেইড অন হন জয়। তার আগে ৩১ বল খেলে ১টি চারের সাহায্যে ১০ রান করেন তিনি।
এরপর নাজমুল হাসান শান্তকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন তামিম। ব্যাট ছোটান অর্ধশতকের দিকে। কিন্তু অর্ধশতক থেকে ৪ রান দূরে থাকতেই তাকে থামিয়ে দেন আলজারি জোসেফ। মাঠ ছাড়ার আগে ৬৭ বলে ৯ চারে ৪৬ রান আসে বাঁহাতি এই ওপেনারের ব্যাট থেকে।
এরপর সেশনের বাকিটা সময় আর অঘটন ঘটতে দেননি নিজয় ও শান্ত। যার ফলে দুই উইকেট হারিয়ে ৭৭ রানের পুঁজি নিয়ে প্রথম সেশন শেষ করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
বিরতি থেকে ফিরে রানের গতি বাড়ান এই দুই ব্যাটার। যার ফলে ৩২.২ ওভারেই দলীয় সংগ্রহ শতক পেরোয় বাংলাদেশ। বিরতির পর ২৩ রান করতে শান্ত বিজয় সময় নেন ২৬ মিনিট।
তবে দলকে শতক এনে দিয়ে বেশিক্ষণ উইকেটে থাকা সম্ভব হয়নি বিজয়ের পক্ষে। ব্যক্তিগত ২৩ রানে ফিলিপের দ্বিতীয় শিকার বনে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
সঙ্গীর বিদায়টা যেন মেনেই নিতে পারছিলেন না শান্ত। তাই পরের ওভারেই একই পথ ধরেন তিনিও। কাইল মায়ার্সের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পরে ২৬ রান করে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে স্কোরবোর্ডে ২০ রান যোগ করতেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন সাকিব আল হাসান। সিলসের বলে স্টাম্প হারিয়ে সাজঘরের পথ ধরার আগে টাইগার দলপতির ব্যাট থেকে আসে ৮ রান।
অল্পতেই ফেরেন নুরুল হাসান সোহানও। জোসেফের দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়ার তার ব্যাট থেকে আসে ৭ রান। আর তাতেই ১৩৮ রান তুলতে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।
তবে চা বিরতির আগ পর্যন্ত আর কোনো বিপদের সন্মুখীন হয়নি সফরকারীরা। লিটন ও মিরাজ মিলে ১৫৯ রানের পুঁজি নিয়ে শেষ করেন দ্বিতীয় সেশন।