ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে ভালো শুরুর পর দ্বিতীয় সেশনে এসে বিপর্যয় চোখ রাঙ্গাচ্ছে বাংলাদেশকে। উইন্ডিজ বোলারদের এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে পরপর বিদায় নিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও এনামুল হক বিজয়।
৩৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটের খরচায় ১০৯ রান। ৪ বলে ৪ রান করে অপরাজিত রয়েছেন সাকিব আল হাসান। রানের খাতা না খুলে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন লিটন দাস।
সেইন্ট লুসিয়ায় দিনের শুরুটা বেশ দেখেশুনেই করে বাংলাদেশ। কিমার রোচ ও জেইডেন সিলসের ওপেনিং স্পেল অবিচ্ছিন্ন থেকেই পার করেন তামিম ও জয়। এ সময় বেশ কয়েকটি আবেদনে নিরাপদ থেকে যান ডিআরএসের কল্যাণে।
তবে, অভিষিক্ত পেইসার অ্যান্ডারসন ফিলিপ এসে জুটি ভাঙেন টাইগারদের। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তিনি ফেরান জয়কে। ফিলিপের বলের লেংথ বুঝতে না পেরে প্লেইড অন হন জয়। তার আগে ৩১ বল খেলে ১টি চারের সাহায্যে ১০ রান করেন তিনি।
এরপর নাজমুল হাসান শান্তকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন তামিম। ব্যাট ছোটান অর্ধশতকের দিকে। কিন্তু অর্ধশতক থেকে ৪ রান দূরে থাকতেই তাকে থামিয়ে দেন আলজারি জোসেফ। মাঠ ছাড়ার আগে ৬৭ বলে ৯ চারে ৪৬ রান আসে বাঁহাতি এই ওপেনারের ব্যাট থেকে।
এরপর সেশনের বাকিটা সময় আর অঘটন ঘটতে দেননি বিজয় ও শান্ত। যার ফলে দুই উইকেট হারিয়ে ৭৭ রানের পুঁজি নিয়ে প্রথম সেশন শেষ করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
বিরতি থেকে ফিরে রানের গতি বাড়ান এই দুই ব্যাটার। যার ফলে ৩২.২ ওভারেই দলীয় সংগ্রহ শতক পেরোয় বাংলাদেশ। বিরতির পর ২৩ রান করতে শান্ত বিজয় সময় নেন ২৬ মিনিট।
তবে দলকে শতক এনে দিয়ে বেশিক্ষণ উইকেটে থাকা সক্ষম হয়নি বিজয়ের পক্ষে। ব্যক্তিগত ২৩ রানে ফিলিপের দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
সঙ্গীর বিদায়টা যেন মেনেই নিতে পারছিলেন না শান্ত। তাই পরের ওভারেই একই পথ ধরতে হয় তাকেও। কাইল মায়ার্সের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে ২৬ রান করে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।