সিরিজে পরাজয় মেনে নিতে হয়েছিল চতুর্থ ম্যাচেই। পঞ্চম ও শেষ ম্যাচটি ছিল নিয়মরক্ষারই কেবল। জয় দিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ শুরু করলেও মাঝের তিন ম্যাচ হেরে সিরিজ হাতছাড়া হয় অজিদের। তবে সিরিজের শেষ ম্যাচে ৪ উইকেটে জয় বাগিয়ে নিয়ে হারের ক্ষতর যন্ত্রণা কিছুটা হলেও লাঘব করে দেশে ফিরছে অজিরা।
সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে লঙ্কানদের দেয়া ১৬১ রানের সহজ লক্ষ্য অজিরা টপকে যায় ৪ উইকেট ও ৬৩ বল হাতে রেখেই। এর মধ্য দিয়ে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ শেষ করল সফরকারীরা।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয় সঙ্গী হয় লঙ্কানদের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই দলীয় ৯ রানে সাজঘরের পথ ধরতে হয় লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কাকে।
এরপর স্কোরবোর্ডে ৬২ রান তুলতেই অজি বোলারদের তোপে মাঠ ছাড়তে হয় আরও ৬ লঙ্কান ব্যাটারকে। দলীয় ৬২ রানে মাঠ ছাড়া সাত ব্যাটারের ভেতর কেবলমাত্র মুশল মেন্ডিস (২৬) ও চারিথ আশালাঙ্কা (১৪) সক্ষম হন দুই অঙ্কের ঘরে নিজেদের রান পৌঁছাতে।
উইকেটের এক প্রান্তে আসা যাওয়ার মিছিল চলতে থাকলেও অন্যপ্রান্ত আগলে ধরে রানের চাকা সচল রাখেন চামিকা কারুনারত্নে। তার ৭৫ বলে ৭৫ রানের ইনিংসে ভর করে বিপর্যয় এড়িয়ে সবগুলো উইকেট হারিয়ে অজিদের সামনে ১৬০ রানে পুঁজি দাঁড় করাতে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা।
সফরকারীদের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন জশ হেইজলউড, ম্যাথিউ ক্যুনেমান ও প্যাট কামিন্স। একটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও ক্যামেরন গ্রিন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে অস্ট্রেলিয়াও। দলীয় ১৯ রানেই সফরকারীরা হারায় তাদের তিন টপ অর্ডারকে।
শুরুটা হয় অ্যারন ফিঞ্চকে দিয়ে। রানের খাতা খোলার আগেই দলীয় ১১ রানে সাজঘরে ফেরেন অজি দলপতি। ১০ রানে সাজঘরের পথ ধরেন ডেভিড ওয়ার্নার আর ৫ রানে জশ ইংলিশের মাঠ ছাড়ার মধ্য দিয়ে দলীয় ১৯ রানেই তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে অস্ট্রেলিয়ার। একই সঙ্গে শঙ্কা জাগে সহজ ম্যাচে পরাজয়ের।
তবে পরাজয়ের চোখ রাঙ্গানি উপেক্ষা করে দলকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন মার্নাস ল্যাবুশেইন ও মিচেল মার্শ। মার্শের ৫০ বলে ৩৬ ও ল্যাবুশেইনের ৫৮ বলে ৩১ রানে ভর করে ট্র্যাকে ফেরে সফরকারীরা।
শেষ দিকে অ্যালেক্স ক্যারির অপরাজিত ৬৫ বলে ৪৫ রানের ইনিংসে ভর করে বিপর্যয় এড়িয়ে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে সক্ষম হয় অস্ট্রেলিয়া।