৫ বছর আগে ইউরোপ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বরেকর্ড অর্থ খরচ করে নেইমারকে বগলদাবা করেছিল প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। অর্থের জোরে ফরাসি লিগে আধিপত্য বিস্তার করতে পারলেও, ইউরোপ সেরা হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে প্যারিসের ক্লাবটির।
উলটো লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপে ও নেইমারের মতো তারকাদের মোটা পারিশ্রমিকের দায়ে কিছুটা দমবন্ধ অবস্থা তাদের। যে কারণে ক্লাবের সভাপতি আমূল পরিবর্তন আনতে চাচ্ছেন ক্লাবে।
এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে, এমবাপের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছে তারা। ২৩ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ডকেই ক্লাবের ভবিষ্যৎ ভাবছে প্যারিসিয়ানরা। যে কারণে মেসি-নেইমারদের ছাপিয়ে এমবাপেকেই সর্বোচ্চ ৫ কোটি ইউরো পারিশ্রমিক দিচ্ছে পিএসজি।
একই সঙ্গে ক্লাবের ম্যানেজমেন্টেও পরিবর্তন এনেছে ফরাসি লিগ চ্যাম্পিয়নরা। দীর্ঘদিনের স্পোর্টিং ডিরেক্টর লিওনার্দোকে বরখাস্ত করে আনা হয়েছে লুইস কাম্পোসকে। নিজের কঠোর সিদ্ধান্তের জন্য সুপরিচিত মোনাকো ও লিল এর সাবেক এ পরিচালক।
পদে এসেই কাম্পোস বদল করছেন হেড কোচকে। মরিসিও পচেত্তিনোর জায়গায় প্রথমে জিনেদিন জিদানের আসার কথা থাকলেও কাম্পোসের পরামর্শে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পালটে ফরাসি লিগের নামী কোচ ক্রিস্টোফ গালতিয়েকে নিয়োগ দিচ্ছে পিএসজি।
তবে, বড় সিদ্ধান্তটি আসতে পারে নেইমারকে ঘিরে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি এ তারকার ওপর নাখোশ কাম্পোস। বিশেষ করে ৩০ বছর বয়সেও নেইমারের ক্লাবের মূল তারকা হয়ে উঠতে না পারাকে ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন তিনি।
যে কারণে দল যে সব খেলোয়াড়দের এ মৌসুমে ছেড়ে দিতে চায় সে তালিকায় আছে এ ব্রাজিলিয়ানের নামও। এরই মধ্যে পিএসজি ছেড়ে দিয়েছেন আনহেল দি মারিয়া। মাউরো ইকার্দি, জিনি উইনাল্ডাম, হুয়ান বারনাত ও কেইলর নাভাসকেও রাখতে চায় না চ্যাম্পিয়নরা।
ফরাসি মিডিয়ার জোর গুঞ্জন এ তালিকায় নাম রয়েছে নেইমারের। বিশেষ করে মঙ্গলবার ক্লাব সভাপতি নাসির এল খেলাইফির বক্তব্যের পর জোরালো হয়েছে গুঞ্জন।
ক্রীড়া দৈনিক মার্কাকে খেলাইফি বলেন, ‘গত মৌসুমের চেয়ে আমরা অনেক বেশি প্রত্যাশা রাখছি। যারা নিজেদের মতো থাকতে চায়, যারা লড়াই করতে চায় না তারা সরে যেতে পারে।’
এ মন্তব্য থেকে গুঞ্জন শুরু হয়েছে মিডিয়ায়। তাদের ধারণা ইঙ্গিতটা স্পষ্ট নেইমারের দিকে। মারকার দাবি এরই মধ্যে ইউভেন্তাসের সঙ্গে নেইমারকে নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে পিএসজি।
ধারে এ ব্রাজিলিয়ানকে ইতালিয়ানদের কাছে দিতে চায় পিএসজি। তাদের দাবি নেইমারের ৩ কোটি ইউরো বেতনের পুরোটাই দিতে হবে ইউভেন্তাসকে। সেখানেই বেঁকে বসেছে ইউভে। তারা চায় দুই দল নেইমারের এ পারিশ্রমিক ভাগাভাগি করবে।
এ মাসের মধ্যে নেইমারের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। ক্লাব ছাড়তে হলে নেইমারের পছন্দ বার্সেলোনায় ফিরে যাওয়া। কিন্তু তার বিশাল পারিশ্রমিক নিয়ে রয়েছে বার্সার আপত্তি। সবমিলিয়ে নেইমারের সামনে খুব বেশি বিকল্প নেই।